আফগানিস্তানের ক্রিকেট পাগলামি

কামাল উদ্দিন শেরজাঈ এবং নুর আহমদ হাকপারাস্ট। দুই আফগান নাগরিক। থাকেন বাংলাদেশে। পড়াশোনা করেন গাজীপুরে উবস্থিত ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজিতে। শুক্রবার এদেরকে দেখা গেলো সাভারের বিকেএসপিতে। সেখানে পাঁচজাতির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট চলছে। অংশগ্রহণ করেছে আফগানিস্তানও। সেই খেলা দেখতেই মাঠে উপস্থিত হয়েছেন এ দুজন। ঢাকাস্থ আফগানিস্তান দূতাবাস বাংলাদেশের সব আফগান নাগরিককে বলে দিয়েছে নিজেদের দলকে সমর্থন দেয়ার জন্য!

মজার ব্যাপার হলো কামাল ও নূর যে দলকে সমর্থন দিতে এসেছিলেন, সেই দলটা আফগানিস্তানের মূল দল নয়; শারীরিক সামর্থ্যে পিছিয়ে থাকাদের দল। তারপরও সমর্থনে কমতি নেই।

আফগানিস্তানে ক্রিকেট ক্রমেই উঠছে নেশার নাম। ঠিক যেমন নেশা বাংলাদেশ- ভারত ও পাকিস্তানে। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে ক্রিকেট জোয়ার আছড়ে পড়েছে আফগানিস্তানের পাহাড়েও। এ প্রসঙ্গে কামাল বলেন, 'আফগানিস্তানের ক্রিকেট খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। মেধাবী ক্রিকেটাররা উঠে আসছে। প্রতিবন্ধী দলটাকেও আজ ভালো খেলতে দেখলাম। আফগানিস্তানে ক্রিকেট দারুণ জনপ্রিয় খেলা হয়ে উঠেছে।'

আফগানিস্তানের ক্রিকেট উত্থানের গল্পে অবধারিতভাবেই উঠে আসে বাংলাদেশের নাম। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারিয়েই নতুন ইতিহাসের দ্বার উন্মোচন করে আফগানরা। সেই ম্যাচেও মাঠেই ছিলেন কামাল।

কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই ছাত্র বলেন, 'ফতুল্লাতে বাংলাদেশ আফগানিস্তান ম্যাচে আমি মাঠেই ছিলাম। ওই জয়টাই আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে বহুদূর এগিয়ে দিয়েছে। এরপর আফগানিস্তান বিশ্বকাপে খেলেছে। ম্যাচ জিতেছে। কাবুল থেকে কান্দাহারের মানুষ পাগলের মতো উল্লাস করেছে। সারা দেশ আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে উঠেছিলো। বিশ্বকাপ খেলার অনুভূতি অবর্ণনীয়।'

কামাল ও নূর স্বপ্ন দেখেন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম শক্তিশালী দলে পরিণত হবে আফগানিস্তান। এবং অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বকাপও জেতা হবে আফগানদের।

আপনি আরো পড়তে পারেন

ধোনি- আফ্রিদি এক দলে!

ভারতের অনীহা, আগ্রহী বাংলাদেশ

রাসেল ও তার পরিবারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন