২০০৮ সাল থেকে শুরু হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। প্রথম মৌসুম থেকেই প্রতি বছর তারার হাট বসাতে চেয়েছে টুর্নামেন্টটি। বিশ্বের সেরা তারকাদের খুঁজে খুঁজে দলে ভেড়নোর প্রবনতা আইপিএলের সব দলের মধ্যেই দেখা যায়। সেরা তারকাদের উপস্থিতিতে এই টুর্নামেন্টে আলাদাভাবে আলো ছড়ানো সহজ কথা নয়।

kohli gayel rahul russel ipl

তবে সহজ না হলেও আলাদাভাবে কেউ কেউ আলো ছড়াবেন, রেকর্ড গড়বেন এটাই তো বাস্তব। আইপিএলে ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়তে পেরেছেন তাদের নিয়েই এই আয়োজন (১৯ মে রাজস্থান রয়্যালস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর ম্যাচের আগে)।

সর্বোচ্চ রান: আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান বিরাট কোহলির। ১৬৩ ম্যাচের ১৫৪ ইনিংস ব্যাট করে ৪৯৪৪ রান করেছেন কোহলি। সর্বোচ্চ রানের তালিকায় সেরা পাঁচের অপর চারজন যথাক্রমে সুরেশ রায়না (৪৮৭০ রান), রোহিত শর্মা (৪৪৮০ রান), গৌতম গম্ভির (৪২১৭) ও রবিন উথাপ্পা (৪০৩৬)।

সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি: আইপিএলের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক ক্যারিবিয়ান দানব ক্রিস গেইল। ১১১ ম্যাচ খেলা গেইল ১১০ ইনিংস ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করেছেন ৬টি। সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা তালিকায় সেরা পাঁচে যথাক্রমে বিরাট কোহলি (৪ সেঞ্চুরি, ইনিংস ১৫৪), ডেভিড ওয়ার্নার (৩ সেঞ্চুরি, ইনিংস ১১৪), এবি ডি ভিলিয়ার্স (৩ সেঞ্চুরি, ইনিংস ১২৮), সুরেশ রায়না (৩ সেঞ্চুরি, ইনিংস ১১১)।

সর্বোচ্চ ইনিংস: আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক ক্রিস গেইল। ২০১৩ সালের আইপিএলে মাত্র ৬৬ বলে অপরাজিত ১৭৫ রান করেছিলেন গেইল। সর্বোচ্চ ইনিংসের তালিকায় সেরা পাঁচে অপর চার ইনিংস যথাক্রমে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (২০০৮ সালে ৭৩ বলে ১৫৮*), এবি ডি ভিলিয়ার্স (২০১৫ সালে ৫৯ বলে ১৩৩*), ডি ভিলিয়ার্স (২০১৬ সালে ৫২ বলে ১২৯*), ক্রিস গেইল (২০১২ সালে ৬২ বলে ১২৮*)।

দ্রুততম সেঞ্চুরি: আইপিএলে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিকও গেইল। ওই ১৭৫ রানের ইনিংসটি খেলার পথে মাত্র ৩০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন গেইল। এই তালিকায় পরের নামগুলো হলো ইউসুফ পাঠান (৩৭ বলে, ২০১০ সালে), ডেভিড মিলার (৩৮ বলে, ২০১৩ সালে), অ্যাডাম গিলক্রিস্ট (৪২ বলে, ২০০৮ সালে), এ বি ডি ভিলিয়ার্স (৪৩ বলে, ২০১৬ সালে)।

দ্রুততম ফিফটি: আইপিএলের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড লোকেশ রাহুলের দখলে। কদিন আগেই মাত্র ১৪ বলে ফিফটি করেছেন রাহুল। এই তালিকায় সেরা পাঁচে অপর চারজন হলেন ইউসুফ পাঠান (১৫ বলে, ২০১৪ সালে), সুনিল নারিন (১৫ বলে, ২০১৭ সালে), সুরেশ রায়না (১৬ বলে, ২০১৪ সালে) ও ক্রিস গেইল (১৭ বলে, ২০১৩ সালে)।

সেরা স্ট্রাইকরেট: আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট আন্দ্রে রাসেলের। ৪৭ ম্যাচে ৩৬ ইনিংস ব্যাটিং করা ক্যারিবিয়ান তারকার স্ট্রাইকরেট ১৭৮.৯৬। এই তালিকায় সেরা পাঁচে থাকা অন্য চারজন হলেন ক্রিস মরিচ (১৬৬.৬৬, ৩৩ ইনিংস), সুনিল নারিন (১৬৩.৯৭, ৪৫ ইনিংস), ঋষাভ পান্ট (১৬৩.৭৬, ৩৭ ইনিংস), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১৬১.৯৬, ৬৭ ইনিংস)।

সেরা গড়: আইপিএলের সেরা গড় অচেনা জাগাদীশা সুচিথের। ১৪ ম্যাচ খেলে ৬ ইনিংস ব্যাটিং করা সুচিথের ব্যাটিং গড় ৪৮.০০। সেরা চারে তারপর যথাক্রমে অ্যাডাম ভোজেস (৪৫.২৫, ইনিংস ৭), কেন উইলিয়ামসন (৪৫.০৪, ইনিংস ২৮), বিজয় শঙ্কর (৪৫.০০, ইনিংস ১৪), হাশিম আমলা (৪৪.৩৮, ইনিংস ১৬)।

সর্বোচ্চ ছক্কা: আইপিএলের সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড ক্রিস গেইলের দখলে। ১১০ ইনিংস ব্যাট করা গেইল ছক্কা হাঁকিয়েছেন ২৯২টি। ছক্কা হাঁকানোর তালিকায় গেইলের ধারেকাছেও কেউ নেই। ১২৮ ইনিংস ব্যাট করে ১৮৬ ছক্কা হাঁকানো এবি ডি ভিলিয়ার্স তালিকার দুই নম্বরে। সেরা পাঁচে এরপর যথাক্রমে মহেন্দ্র সিং ধোনি (১৫৬ ইনিংসে ১৮৫ ছক্কা), রোহিত শর্মা (১৬৭ ম্যাচে ১৮৪ ছক্কা), সুরেশ রায়না (১৬৯ ইনিংসে ১৮২ ছক্কা)।

সর্বোচ্চ চার: সর্বোচ্চ চার হাঁকানোর রেকর্ড গৌতম গম্ভিরের দখলে। এখন পর্যন্ত ১৫২ ইনিংস ব্যাট করতে নেমে ৪৯১টি চার হাঁকিয়েছেন গম্ভির। তালিকার সেরা পাঁচে থাকা অপর চারজন হলেন শিখর ধাওয়ান (১৩৮ ইনিংসে ৪৪৯ চার), সুরেশ রায়না (১৬৯ ইনিংসে ৪৩৭ চার), বিরাট কোহলি (১৫৪ ইনিংসে ৪৩৪ চার), ডেভিড ওয়ার্নার (১১৪ ইনিংনে ৪০১ চার)।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.