আইপিএলে খেলেছিলেন এসব কিংবদন্তি ক্রিকেটারও

প্রতিভা তৈরির এক রকম উৎস হয়ে উঠেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। প্রতি বছরই এখন থেকে উঠে আসছেন একঝাঁক নতুন ক্রিকেটার। এই মঞ্চ থেকেই অনেক ক্রিকেটার পেয়েছেন তারকা খ্যাতি। আবার অনেক তারকা ক্রিকেটার আইপিএল থেকে হারিয়ে গেছেন কয়েকটা ম্যাচ খেলেই। কারো কারো আইপিএল অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে দু’এক ম্যাচেই। আবার এমন সব খেলোয়াড়রা আইপিএলে খেলেছেন আপনি হয়তো নিজেও জানেন না। তাহলে চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক বিখ্যাত সেসব ক্রিকেটারকে।

ড্যারেন লেম্যান: বেশ কিছুদিন আগে বল টেম্পারিংয়ের ইস্যুতে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ড্যারেন লেম্যান। শুধু কোচ হিসেবেই নয়, খেলোয়াড় ভূমিকাতেও এই অস্ট্রেলিয়ান ছিলেন বেশ সফল। ২০০৩ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পেছনে অবদান ছিল লেম্যানের।

জাতীয় দলকে বিদায় জানানো এই অস্ট্রেলিয়ান আইপিএলের প্রথম আসরেই খেলেছিলেন। ওই আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে দুই ম্যাচ খেলে ১৮ রান করেন লেম্যান। কিন্তু এরপর আর ক্রিকেটার হিসেবে ফেরা হয়নি তার, লেম্যান আইপিএলে প্রত্যাবর্তন করেছেন কোচ হিসেবে।

মোহাম্মদ আশরাফুল: টেস্ট ক্রিকেটের দেড়শ বছরের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম প্রতিভাবান ক্রিকেটার ভাবা হতো তাকে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের বাঁক বদলের বেশ কয়েকটা জয়েই ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আশরাফুল।

কিন্তু ২০০৯ সালে আইপিএলে অভিষেক ম্যাচে নিজের ব্যাট হাসাতে পারেননি তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতে একটি মাত্র ম্যাচ খেলে দুই রানে সাজঘরে ফিরে যান আশরাফুল। এরপর আইপিএলের বাইশ গজে আর ফেরা হয়নি বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়কের।

ব্র্যাড হাডিন: অ্যাডাম গিলক্রিস্টের পর ব্যাড হাডিনকে অস্ট্রেলিয়ার সেরা উইকেটরক্ষক এবং ব্যাটসম্যান বলা হয়ে থাকে। ২০১১ সালে তাকে দলে টেনেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

অভিষেক ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জার্সিতে ১৮ রান করেছিলেন তিনি। ওই ম্যাচটাই আইপিএলে তার প্রথম এবং শেষ ম্যাচ হয়ে থাকল। পরের দুই বছর দলে থাকলেও একাদশে আর সুযোগ পাননি হাডিন।

পল কলিংউড: পল কলিংউডের হাত ধরে প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছিল ইংল্যান্ড। ওই বছরই তাকে কিনে নেয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। কিন্তু নতুন ঠিকানায় খুব একটা সফল হতে পারেননি কলিংউড।

আট ম্যাচে ইংলিশ তারকা করেছেন মাত্র ২০৩ রান। এর সঙ্গে পাঁচটি উইকেট শিকার করেন তিনি। পরের দুই বছর রাজস্থান রয়্যালসে থাকলেও মাঠে নামার সুযোগ আর পাননি ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক।

রামনরেশ সারওয়ান: ২০০৮ সালে যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বে কিংস ইলেভেনের জার্সিতে আইপিএলে অভিষেক হয়েছিল রামনরেশ সারওয়ানের। কিন্তু আইপিএলের প্রথম ও একমাত্র আসরটা তার জন্য সুখের হয়নি।

চার ম্যাচে মাত্র ৭৩ রান করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার। এই অফ ফর্ম শেষ করে দিয়েছে তার আইপিএল অধ্যায়। এরপর আর ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দেখা যায়নি ডানহাতি এই ক্রিকেটারকে।