হাতিরঝিলে ভাসছে নান্দনিক কলাবতী

ব্যস্ত শহরে অন্যতম প্রশান্তির জায়গাগুলোর একটি হাতিরঝিল। রাজধানীর অন্যতম বিনোদন স্পটটির মৌচাক-মগবাজার উড়ালসড়ক-সংলগ্ন স্থানের তিনটি স্থানে সারি সারি ভাসছে সৌন্দর্যবর্ধনকারী বেশকিছু গাছ। সেখানে ফুটে রয়েছে লাল, হলুদ রঙের নান্দনিক ফুল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এগুলো কলাবতী গাছ।

সরেজমিন দেখা গেছে, চারকোনা প্লাস্টিকের পাইপের ফ্রেমের মধ্যে রাখা হয়েছে গাছগুলো। আর চারকোনা টবের ন্যায় করে ৮ থেকে ১০টি করে পাইপের ফ্রেম একসঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। দূর থেকে দেখলে যে কেউ মনে করবে এটি একটি লম্বা ভাসমান বাগান। যারাই হাতির ঝিলের এই অংশ দিয়ে যাচ্ছেন তারাই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে। উৎসুক কেউ কেউ আবার কাছে গিয়েও দেখতে চাইছেন।

হাতিরঝিল প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, আবর্জনা ফেলায় হাতিরঝিলের পানি এখন দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আমরা হয়তো পরিচ্ছন্নতা অভিযানের মাধ্যমে আবর্জনা দূর করতে পারছি কিন্তু দুর্গন্ধ থেকেই যাচ্ছে। মূলত দুর্গন্ধ দূর করতেই ভাসমান কলাবতি লাগানো হয়েছে। এটার সুফল পাওয়া গেলে পরবর্তীতে হয়তো পুরো হাতিরঝিলে ছড়িয়ে দেয়া হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারিয়া সাফা ঘুরতে এসেছেন হাতিরঝিলে। তিনি বলেন, 'বেশকিছুদিন ধরে ভাসমান গাছগুলো দেখছি। দেখতে ভালোই লাগছে। ফুল ফোটায় আরও আকর্ষণীয় লাগছে। ফুলগুলো দেখেই কেমন যেন মন ভালো হয়ে যাচ্ছে।'

হাতিরঝিল প্রকল্পের রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) অংশের পরিচালক জামাল আক্তার ভূঁইয়া বলেন, 'সৌন্দর্যবর্ধন একই সঙ্গে ঝিলের দুর্গন্ধ দূর করতে মৌচাক-মগবাজার উড়ালসড়কের পাশে ভাসমান গাছগুলো লাগানো হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে এই নান্দনিক কলাবতী ও ঘাসজাতীয় গাছ লাগানো হয়েছে। কচুরিপানার মতো পাইপের ফ্রেমে ভাসিয়ে রাখা হয়েছে। পরীক্ষামূলক উদ্দেশ্য সফল হলে সর্বত্র এগুলো ছড়িয়ে দেয়া হবে।'