‘মিস্টার ট্রাম্প আপনি জঘন্য ভুল করছেন’

ইরানের সঙ্গে ছয় জাতি-গোষ্ঠীর সম্পাদিত পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে শীঘ্রই ইরানের ওপর কঠোরতম অর্থনেতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দেন। এ বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, ‘ট্রাম্প তার বক্তব্যে দশটিরও অধিক মিথ্যা কথা বলেছেন। ইরানের সরকার ও জনগণকে হুমকি দিয়েছেন। আমি ইরানি জাতির পক্ষ থেকে বলছি, মিস্টার ট্রাম্প আপনি জঘন্য ভুল করছেন।’

বৃহস্পতিবার হাজার হাজার শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীর এক সমাবেশে পরমাণু সমঝোতা এবং আমেরিকার আচরণের ব্যাপারে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ‘আমেরিকার আচরণ ও বেআইনি কর্মকাণ্ডকে কোনোভাবেই হাল্কা করে দেখার সুযোগ নেই। আমেরিকা প্রকৃতপক্ষে কোনো একটি দল বা ব্যক্তিকে উৎখাতের টার্গেট করেনি। তারা মূলত ইরানের জনগণ ও দেশটির ইসলামি শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘শত্রুরা চায় ইরানে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা উৎখাত করে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকারী ও ভূ-কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ দেশটির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে। আমেরিকা ধারাবাহিকভাবে বিগত ৪০ বছর ধরে নানা উপায়ে ও ছলচাতুরী করে ইরানের ইসলামি সরকার ব্যবস্থার পতন ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে আসছে।’

আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষ করে ইউরোপের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক কেমন হবে সেটি নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপারে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘ট্রাম্পের হুমকিকে ইরান তোয়াক্কা করে না। সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামাও তার চিঠিতে ইসলামি শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিতেন কিন্তু কোন লাভ হয়নি।’

ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার ক্ষোভের কারণ মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের শক্তিশালী উপস্থিতি যা বড় সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করেন আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী। তিনি বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানিকে আমি বিশ্বাস করি না। ইউরোপ যদি ইরানের সঙ্গে আলোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যায় দাবি মেনে নেয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করে তাহলে বুঝতে হবে তারাও আমেরিকার অনুগত হয়ে কাজ করছে।’