যেমন চাচা তেমনি ভাতিজা...

পাকিস্তান জাতীয় দলে ইনজামাম-উল-হকের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯১ সালে। খেলেছেন ২০০৭ সাল পর্যন্ত। পাকিস্তানকে অনেকদিন নেতৃত্বও দিয়েছেন ইনজামাম। টেস্টে ৮ হাজার ৮৩০ রান করেছেন। ওয়ানডেতে তার রান ১২ হাজার ৭৩৯। পাকিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকা করলে শুরুর দিকেই তার নাম আসবে। কিন্তু পুরো ক্যারিয়ারে বারবার লক্ষ্য করা গেছে একটা জায়গায় ইনজামামের দুর্বলতা।

মোটাসোটা গড়নের এই ক্রিকেটার ফিল্ডিংয়ে বরাবরই দুর্বল ছিলেন। ‘রানিং বিটিউন দ্য উইকেটে’ও বারবার ইনজির দুর্বলতা ফুটে উঠেছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকটেই ৪০ বার রান আউট হয়েছেন পাকিস্তানের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক। ইনজামামের রান আউট হওয়ার ধরণ অনেক সময়ই হাস্যরসের খোরাক জোগাত। কিন্তু সেই অধ্যায় তো অনেক আগেই শেষ। ২০০৮ সালের পর প্রতিযোগিতামূলক কোনো ক্রিকেটই খেলেননি ইনজি। তাহলে কেন আসছে তার মোটাসোটা শরীর, ফিল্ডিং আর রান আউটের প্রসঙ্গ? আসার কারণ ইমাম-উল-হক।

সম্পর্কে ইনজামাম-উল-হকের ভাতিজা তিনি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে আলো ছড়িয়ে আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড সফরের পাকিস্তান দলে জায়গা করে নিয়েছেন ইমাম। কদিন পর থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামবে পাকিস্তান। তার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান দল। শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ইমামের সঙ্গে ক্রিজে ধাক্কা খেয়ে রান আউটের শিকার হয়েছেন আজহার আলী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চাচার উদাহরণ টেনে ইমামের মণ্ডুপাত শুরু হয়েছে তাতেই। ওই রান আউটের প্রসঙ্গে ফেসবুকে একজন লিখেছেন, ‘যেমন চাচা, তেমনি ভাতিজা।’ একজন বিদ্রুপ করে লিখেছেন ‘এমন প্রতিভা রক্তেই মিশে আছে!’ আরও অনেকজন অনেক কথা লিখেছেন।

কিন্তু দুটি প্রস্তুতি ম্যাচেই যে দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছেন সে বিষয়ে তেমন কোনো আলোচনা নেই। আজহার অন্য কারো সঙ্গে ধাক্কা লেগে ওভাবে রান আউট হলে নিশ্চিয় এই আলোচনা উঠতো না। চাচার ওই ‘বোঝা’ ইমাকে পুরো ক্যারিয়ারই বয়ে বেড়াতে হয় কিনা কে জানে। আবার চাচার ওই বদনাম ঝেড়ে ফেলারও সুযোগ তার সামনে। দেখা যাক, ভবিষ্যত কি বলে।