এমসিসির নতুন চ্যাম্পিয়ন ঢাকা মাস্টার্স

শেষ বলে বেক্সিমকো ঢাকা মাস্টার্সের দরকার ছিলো দুই রান। স্ট্রাইকে ছিলেন আগে দুই বলে কোনো রান নিতে না পারা ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স। শেষ বলটা আলমগীর কবির করলেন লেগ স্ট্যাম্পের দিকে। ডিকেন্স এক পা সরে গেলেন অফের দিকে এবং চার মেরে দিলেন ডিপ মিড উইকেট দিয়ে। এরই মাধ্যমে ‘ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল-এমসিসি ২০১৮ পাওয়ার্ড বাই স্ক্যান সিমেন্ট’-এর শিরোপা জিতলো ঢাকা।

এটি ছিলো এমসিসির তৃতীয় আসর। ২০১৬ সালে প্রথমবার আয়োজিত হয় সাবেক ক্রিকেটারদের এই আসর। ২০১৭ সালে মাঠে গড়ায় দ্বিতীয় আসর। প্রথম আসরে শিরোপা জিতে খুলনা মাস্টার্স। দ্বিতীয় আসরে শিরোপ উঠে অল স্টার্স ও রাজশাহী মাস্টার্সের হাতে। যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। এবার প্রথমবারের মতো মর্যাদাপূর্ণ এই আসরের শিরোপ জিতলো ঢাকাভিত্তিক দল।

এবারের আসর অন্য দুই আসরের তুলনায় ভিন্ন ছিলো ফরম্যাটের কারণে। এবার এমসিসি আয়োজিত হলো ১০০ বলের নতুন ফরম্যাটে। ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড যখন ১০০ বলের ক্রিকেট নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছে, এমসিসির আয়োজক ইমাগো স্পোর্টস তখন এটি বাংলাদেশে আয়োজনই করে ফেললো।

এবারের আসরে খেলেছে মোট পাঁচটি দল। দলগুলো হলো— বেক্সিমকো ঢাকা মাস্টার্স, সিলেট মাস্টার্স সিক্সার্স, আম্বার চিটাগং মাস্টার্স, র ন্যাশন খুলনা মাস্টার্স ও এয়ার এশিয়া রাজশাহী মাস্টার্স।

দলগুলোতে খেলেছেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয়, হান্নান সরকার, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, আকরাম খান, তারেক আজিজ, খালেদ মাহমুদ সুজন, মেহরাব হোসেন অপি, তালহা জুবায়ের, ফারুক আহমেদ, খালেদ মাসুদ পাইলট, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু ও এনামুল হক মনির মতো সাবেক তারকারা।

আসরের ফাইনালে টস জিতে আগে ফিল্ডিং করে খালেদ মাহমুদ সুজনের ঢাকা। ব্যাটিংয়ে নামে এয়ার এশিয়া রাজশাহী মাস্টার্স। নির্ধারিত ১৬ ওভারে তারা করে ১২৭ রান। এই রান করতে তারা হারায় পাঁচটি উইকেট।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেন এহসানুল হক সেজান। ফয়সাল হোসেন ডিকেন্সের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে তিনি ৪৬ বলে দুই চার ও দুই ছয়ে এই রান করেন। এ ছাড়া ৩০ রান করেন দলের অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট। ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।

ঢাকার হয়ে তিনটি উইকেট নেন ফয়সাল হোসেন। ৪ ওভার চার বলে ৩৯০ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন তিনি। এ ছাড়া একটি উইকেট নেন তালহা জুবায়ের।

জবাব দিতে নেমে শেষ ওভারের শেষ বলে গিয়ে পাঁচ উইকেটে জিতে ঢাকা। বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতেও দলের ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন ফয়সাল। ৩৬ রান করে পরাজিত থাকেন তিনি। তবে তার চেয়েও বেশি রান করেছেন সজল চৌধুরী। ২৫ বলে ৪৮ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। তার এই ইনিংসই মূলত ঢাকার জয় নিশ্চিত করে।