দুদিনে ৬ খুন: বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা টহল

রাঙ্গামাটির নানিয়ারচরে দুদিনের ব্যবধানে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নানিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ জানিয়েছেন, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা সদস্য টহল দিচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা এবং শুক্রবার আরো পাঁচজনকে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।

এদিকে, নানিয়ারচরে দুটি হত্যাকাণ্ডের পর সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে। মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। উপজেলায় যাতায়াতের একমাত্র সড়কপথ মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য নানিয়ারচরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টায় নানিয়ার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা নিজ কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এসময় আহত হন তার সহকারী রুপক চাকমা।

শক্তিমান চাকমা জেএসএস (শন্তু লারমা)- এরও কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। পরদিন শুক্রবার শক্তিমান চাকমার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আরো পাঁচজন নিহত হন। নিহতরা হলেন- ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক) প্রধান তপন জ্যোতি চাকমা, যুব সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য তনক চাকমা, খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলা যুব সমিতির সভাপতি সুজন চাকমা, সেতুলাল চাকমা ও মাইক্রোবাস চালক মো. সজীব।

এদিন শক্তিমান চাকমাকে সকালে তার গ্রামের বাড়ি নানিয়ারচরের কুকুর মারার পারিবারিক শ্মশানে দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হয়। পথে বেলা ১১টায় বেতছড়িতে দুর্বৃত্তরা অতর্কিত গুলি চালায়। এতে চারজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন নয়জন। তাদের খাগড়াছড়ি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে আরো একজনের মৃত্যু হয়।

সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক সংগঠন জেএসএস (শন্তু লারমা) ও ইউপিডিএফ-এর গ্রুপ এবং উপগ্রুপগুলোর দ্বন্দ্বে পার্বত্য এলাকায় হামলা পাল্টা হামলা ও অপহরণের ঘটনা বেড়ে গেছে। ইউএনবি।