প্রধানমন্ত্রী: কয়েক বছর পর হয়তো পুরুষ আন্দোলন শুরু হবে

সরকার যে গতিতে বিভিন্ন সেক্টরে নারীর ক্ষমতায়ন করে আসছে তাতে হয়তো কয়েক বছর পর পুরুষ আন্দোলন শুরু হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে পুরুষ আন্দোলনেও তিনি থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

বুধবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া সম্মেলনে গণমাধ্যমকর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমীন প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, নারী সক্ষমতা নিয়ে যে সন্দেহ রয়েছে সে বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে কি না? জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উইমেন্স লিডারশিপের জন্য প্রাপ্ত পুরস্কারটি গোটা দেশের নারীদের। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে যখন নারীদের জন্য ৩০ ভাগ সংরক্ষিত আসন রাখা হয় তখন অনেকেই বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু থেমে থাকিনি। তবে পরবর্তী সময়ে তাঁরাই নারীদের পক্ষে ভোট চেয়েছেন। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় প্রথম বছরই ৪৫ হাজার নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সকলেরই মনে রাখা উচিত পরিবর্তন কিন্তু একবারে কখনো আসে না। ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হয়। কেননা নারীর ক্ষমতায়ন না হলে কখনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আসে না। তবে অবশ্যই মনোবল থাকতে হবে। মনের জোর থাকলেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৮১ সালে আমার রাজনীতি শুরু হলে জামায়াতসহ অনেকেই বলেছে বাংলাদেশে কোনো নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। অথচ খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী হলেন তখন তারা মেনে নিয়েছেন। তারাই কিন্তু খালেদা জিয়ার সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেছে।’ তখন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন পর হয়তো দেখা যাবে পুরুষ আন্দোলন হচ্ছে। তখনও অবশ্য আমি তাদের সঙ্গে থাকবো।’

নারীর ক্ষমতায়নের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। এদেশের মেয়েরা একটা সময় খেলাধুলার মধ্যে ছিল না। ফুটবল-ক্রিকেটে তাদের অংশগ্রহণ একদম ছিল না বললেই চলে। আমরা শুরু করেছি; বর্তমানে সেটি পরিবর্তন হয়েছে। বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আত্মবিশ্বাসী নারীরা অবশ্যই এগিয়ে যাবে।’