আট নম্বরে বাংলাদেশ, উচ্ছ্বসিত প্রথম টেস্ট জয়ের অধিনায়ক

এক বছর আগেও বাংলাদেশ ছিলো ক্রিকেটের অভিজাত পরিবারের নতুনতম সদস্য। কিন্তু এখন আর তা নয়। বাংলাদেশের পরের টেস্ট স্ট্যাটাস পেয়ে গেছে দুই দেশ আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান। টেস্ট ক্রিকেটের উত্তপ্ত আঙিনায় বাংলাদেশ পার করে ফেলেছে একে এক ১৮টি বছর। এতো বছর পর এসে প্রথমবারের মতো টেস্টে দলের আট নম্বরে উঠেছে বাংলাদেশ। যা স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত করে তুলেছে প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক হাবিবুল বাশারকে।

হাবিবুল বর্তমানে অবস্থান করছেন কক্সবাজারে। সেখানে ‘ওয়ালটন মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল-এমসিসি ২০১৮ পাওয়ার্ড বাই স্ক্যান সিমেন্ট’-এর দল র ন্যাশন খুলনার ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এর ফাঁকে বুধবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে বাংলাদেশ টেস্ট দলের উত্তরণ নিয়ে কথা বলেন হাবিবুল।

প্রথমবারের মতো টেস্টের সেরা আট দলে জায়গা করে নিতে বাংলাদেশকে গুনতে হলো পাক্কা ১৮ বছর। একটু কি বেশি সময় লেগে গেলো— এমন প্রশ্নে হাবিবুল বলেন, ‘হ্যা, বলতে পারেন একটু বেশি সময় লেগে গেলো। কিন্তু আমরা যখন শুরু করি, তখন কিন্তু আমাদের অবকাঠামো বলতে কিছুই ছিলো না। সেটা আমাদের ধীরে ধীরে তৈরি করতে হয়েছে। তবে গত পাঁচ বছর ধরে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলতে শুরু করেছি। যদিও এই সময়ে খুব কম টেস্ট খেলার সুযোগ এসেছে। আরো বেশি টেস্ট খেলতে পারলে আমরা হয়তো আরো আগেই সেরা আট দলের একটি হতে পারতাম।’

ধারণা করা হয় ঘরোয়া ক্রিকেটের মান ভালো নয় বলেই বাংলাদেশ এখনো ওয়ানডের মতো প্রভাবশালী দল হয়ে উঠতে পারেনি। হাবিবুলও তাই মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অবস্থা ভালো ছিলো না। ফলে প্রথম শ্রেণিতে আমরা সুবিধা করতে পারিনি। কিন্তু গত কয়েক বছরে ঘরোয়া ক্রিকেটের মান বদলে গেছে। যা নিয়ে আমি আশাবাদী।’

হাবিবুল বলেন, ‘পাঁচ বছর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে যে পরিমাণ রান হতো বা বোলাররা যতো উইকেট পেতেন, এখন কিন্তু তার চেয়ে বেশি পাচ্ছেন। এখন বেশি সেঞ্চুরি হচ্ছে। এখন বোলাররা বেশি পাঁচ উইকেট পাচ্ছেন। এগুলো কিন্তু বড় ধরনের পরিবর্তন। যা আমাদের টেস্টেও এগিয়ে দিবে।’

প্রথমবার আট নম্বরে উঠা বাংলাদেশের জন্য এই জায়গাটা ধরে রাখা বিশাল এক চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করেন হাবিবুল বাশার। তবে তার কাছে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নয়। হাবিবুল বলেন, ‘আট নম্বর জায়গাটা ধরে রাখা বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। তবে তার চেয়েও বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজেদের ভালো খেলার ধারাট ধরে রাখা। সামনেও আমাদের আরো ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে এবং উন্নতির চিত্রটা এগিয়ে নিতে হবে।’