বন্যার সতর্কবার্তা, সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ

এ বছর বর্ষা মৌসুমে দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৩৭টি জেলাতেই বন্যার আশঙ্কা রয়েছে বলে আগেভাগেই সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। এই সতর্কবার্তা আমলে নিয়ে বন্যাসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বছর বর্ষা আসার আগেই দেশে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪ মে থেকে ৭ মে পর্যন্ত চারদিন দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারী বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে। বর্ষা আসলে পরিস্থিতি আরও খারাপ আকার ধারণ করতে পারে। অতি বৃষ্টি ও ভারী বৃষ্টির কারণে এ সব জেলায় বন্যা হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

এদিকে গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল -এই দুই দিনে ঢাকায় ১৪৬ মিলিমিটার, সন্দ্বীপে ৯৯ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ১০৭ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১১২ মিলিমিটার, রাঙামাটিতে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হ। বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা স্বাভাবিক নয় বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

আবহাওয়া অধিদফতরের হুঁশিয়ারির পর বন্যাসহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আগে থেকেই তৎপর হয়ে উঠেছে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহের পাঁচ দিনই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল। বৈঠকে সেনাবাহিনী ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘বজ্রপাত, ভারী বর্ষণ ও অতি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যাসহ যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলার পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে প্রতি জেলার ডিসিকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও টাকা, চাল, ঢেউটিনসহ বিভিন্ন আপদকালীন মজুদ দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, প্রতিটি জেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা ভবনগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বন্যা বা পরিস্থিতি খারাপ হলে বন্যাদুর্গতরা যেন সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। যেকোনও ধরনের দুর্যোগের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস পাওয়ার পর সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আগাম প্রস্ততি নিয়েছি। আমাদের প্রস্তুতি শেষ। প্রস্তুতি কাজে তাৎক্ষণিকভাবে সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীকেও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, বন্যা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে একজন মানুষও মারা যেতে পারবে না। আমরা সেই নির্দেশ পালনে সচেষ্ট আছি।