বজ্রপাতে সারাদেশে ১৫ জনের মৃত্যু

রোববার সকাল থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে হানা দিয়েছে কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়োবৃষ্টির সঙ্গে ঘন ঘন ঘটছে বজ্রপাত। প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণ বজ্রপাতে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন।

রোববার সিরাজগঞ্জ জেলায় বজ্রপাতে বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ, কাজিপুর ও শাহজাদপুর উপজেলায় পৃথক বজ্রপাতে এ প্রাণহানি হয়। নিহতরা হলেন, কাদের হোসেন (৩৭), শামছুল মণ্ডল (৫৫) ও তার ছেলে আরমান (১৪), নাবিল (১৭) ও একই পাড়ার পলিং (১৭)। নিহতদের মধ্যে নাবিল ও পলিং শাহজাদপুর ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ধানক্ষেতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে আব্দুর রহিম (৫০) নামে এক কৃষক প্রাণ হারান। পাশাপাশি নোয়াখালীর মাইজদী ও সেনবাগ উপজেলায় বজ্রপাতে দু’জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। নিহতরা হলেন- নোয়াখালী পৌরসভার পিয়াল (১৩) ও ভোলার শাহীন (২৬)। এছাড়াও আহত হয়েছেন- আব্বাস ও মনির।

বজ্রপাতে নওগাঁর সাপাহারে প্রাণ হারিয়েছেন সোনাভান (২২) নামের এক নারী। আহত হয়েছেন তার স্বামীসহ অন্য তিনজন। এছাড়াও জেলার পোরশা উপজেলায় মুক্তার হোসেন নামের এক স্কুলছাত্র মারা গেছেন।

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মাটিকাটা এলাকায় বজ্রপাতে প্রাণ হারিয়েছেন জাফরুল ইসলাম নামের এক যুবক। আহত হয়েছেন- সৌরভ, মনি, লতা, আলো এবং তাপষী। নিহত জাফরুল মাটিকাটার একটি কারখানার চেকম্যান হিসেবে কাজ করতেন।

বজ্রপাতে মাগুরা সদর উপজেলার অক্কুরপাড়া, রায়গ্রাম এবং শালিখা উপজেলার বুনাগাতী গ্রামে তিনজন মারা যান। নিহতরা হলেন- অক্কুরপাড়ার শামীম হোসেন ও আলম এবং শালিখার উপজেলার বুনাগাতী গ্রামের মেহেদী হোসেন। এদিকে রাঙামাটিতে বাঘাইছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে মারা গেছেন মানছুরা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূ।