ব্যাটে-বলে দুর্বার মুম্বাই, দাঁড়াতেই পারলো না চেন্নাই

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসর শুরুর আগে বলা হচ্ছিলো, এবারও শিরোপা জেতার মতোই দল গড়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু আসর শুরুর পর দেখা গেলো মুম্বাই একেবারে এলোমেলো। সেরা কম্বিনেশন খুঁজতেই ঘাম ছুটে যাচ্ছে তাদের। প্রথম ছয় ম্যাচের পাঁচটিই হেরে বসে তারা। পরিস্থিতি যখন খুবই বাজে, তখনই ঘুরে দাঁড়ালো মুম্বাই। তাও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চেন্নাইয় সুপার কিংসের বিপক্ষে।

শনিবার রাতে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে চেন্নাইকে। সপ্তম ম্যাচে এসে মুম্বাইয়ের মাত্র দ্বিতীয় জয়। অন্য দিকে সাত ম্যাচে এটি চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় হার।

সেরা পারফর্ম্যান্স

এই ম্যচের সেরা পারফর্ম্যান্স করেছেন রোহিত শর্মা ও সুরেশ রায়না। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে চেন্নাই করে ১৬৯ রান। টি-টোয়েন্টিতে এই রান নিঃসন্দেহে বড় সংগ্রহ। এই সংগ্রহ করার পথে ৭৫ রান আসে রায়নার ব্যাট থেকে। সর্বশেষ তিন ম্যাচে এটি রায়নার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। তার এই ইনিংসে ভর করেই মূলত চ্যালেঞ্জিং স্কোর পায় দুই বছর পর আইপিএলে ফেরা চেন্নাই।

জবাব দিতে নেমে আট উইকেট হাতে রেখেই জিতে যায় মুম্বাই। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রোহিত শর্মা। তার অধিনায়কোচিত ইনিংসে ভর করেই বড় জয় পায় মুম্বাই। জয়ের ভিতটা অবশ্য গড়ে দেন সূর্যকুমার যাদব ও এভিন লুইস। এ দুজন গড়ে দেন ৬৯ রানের জুটি।

প্রথম ইনিংস

প্রথম ইনিংসটা ছিলো আম্বাতি রাইডু ও সুরেশ রায়নার। রাইডু আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন ৭৯ ও ৮২। এ দিন মাত্র চার রানের জন্য টানা তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। তারপরও তার রানটা ছিলো চেন্নাইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গত ম্যাচে চেন্নাইকে জিতিয়েছিলেন তাদের অধিনায়ক এমএস ধোনি। কিন্তু শনিবার তিনি ২৬ রানে আউট হন। মুম্বাইয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান ও ক্রুনাল পান্ডিয়া। মোস্তাফিজের বদলে দলে আসা বেন কাটিং একটা ওভার হাত ঘুরানোর সুযগো পেয়েছেন এবং খরচ করেছেন ১৪ রান।

দুই দলের পরের ম্যাচ

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স তাদের পরের ম্যাচ খেলবে পহেলা মে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়। এ দিন তাদের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।

চেন্নাই সুপার কিংস তাদের পরের ম্যাচ খেলবে ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়। ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দিল্লি ডেয়ারডেভিলস।