‘স্বল্প সময়ের’ মধ্যেই কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর ‘স্বল্প সময়ের’ মধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। শুক্রবার রাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ আশ্বাস দেন। এর প্রেক্ষিতে আগামী ৭ মে পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো কর্মসূচিতে না যাওয়ার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারী নেতারা।

শুক্রবার রাত আটটার দিকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ সংলগ্ন ন্যাম ভবনে নিজ বাসায় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক। আন্দোলনকারীদের ১৫ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাত ১১টা পর্যন্ত আলোচনা হয়। এ সময় নানকের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম।

বৈঠক শেষে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া দ্রুত নেওয়া হবে। তিনি রাষ্ট্রীয় সফর শেষে দেশে ফেরার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।’ তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কাউকে বিনা কারণে যেন হয়রানি করা না হয়, সেটা নিশ্চিত করা হবে। তবে আন্দোলনকারী নেতারাও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি চেয়েছে।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে দেশের বাইরে আছেন। তাই কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সরকারকে আমরা আগামী ৭ মে পর্যন্ত সময় দিয়েছি।’

৩০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বেঁধে দেওয়ার সময় সীমার মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক।’

সংগঠনটির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক বলেন, ‘আলোচনার পর আমাদের আতঙ্ক অনেকটাই কেটে গেছে। আন্দোলনকারীদের বিনা কারণে হয়রানি না করার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’

এর আগে গত ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। কিন্তু এখনো তা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ পায়নি। আন্দোলনকারীরা সতর্ক করে বলেছিলেন, চলতি মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে তাঁরা মে মাস থেকে আবারও আন্দোলনে নামবে শিক্ষার্থীরা।