পেশাদার খেলোয়াড়দের কাছে দলীয় সাফল্যই শেষ কথা। দলের লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে কত ক্রিকেটার কতোভাবেই না নিজেকে উৎসর্গ করেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) একটু অন্যরকম চিত্রই দেখা গেছে গত কয়েক বছরে। দলের স্বার্থে খোদ অধিনায়ক নিজেই ছেড়ে দিয়েছেন নিজের জায়গাটা। দেখে নেওয়া যাক আইপিএলের সেসব অধিনায়ককে।

gambhir step down as captain of dd

গৌতম গম্ভির: এবারের আইপিএলে বদল হয়েছে গৌতম গাম্ভিরের ঠিকানা। ফেব্রুয়ারির নিলামে তাকে দলে টেনে নয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। শুধু তাই নয় ভারতের সাবেক ওপেনারের হাতে নেতৃত্বও তুলে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছিলেন গাম্ভির।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে অধিনায়কোচিত হাফসেঞ্চুরি করা গাম্ভিরকে আর খুঁজেই পাওয়া গেল না। পরের চার ম্যাচ মিলে ২৯ রান করেছেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সে নিজের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ গাম্ভির। বুঝতে পারছেন এই ধরণের পারফরম্যান্স দলের শুধু বিপদই ডেকে আনবে। যে কারণে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়ালেন দিল্লির অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে তার সরে দাঁড়ানোটা আইপিএলের ইতিহাসে পঞ্চম ঘটনা।

কুমার সাঙ্গাকারা: ২০১২ সালে ডেকান চার্জার্সের শুরুর কয়েকটা ম্যাচের অধিনায়ক হিসেবে হিসেবে ছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। কিন্তু কয়েকটা ম্যাচ পরই প্রশ্ন উঠে তার নেতৃত্বগুণ নিয়ে। ব্যাটসম্যান হিসেবেও তিনি ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ। লঙ্কান কিংবদন্তি শেষ পর্যন্ত নিজেই ছেড়ে দেন একাদশে থাকার বাসনাটা।

তার পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় ফর্মে থাকা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ক্যামেরন হোয়াইটের কাঁধে। দলের মঙ্গলের জন্য সাঙ্গাকারা সরে দাঁড়ালেও তাতে খুব একটা লাভ হয়নি ডেকান চার্জার্সের। নয় দলের টুর্নামেন্ট তারা শেষ করেছে আট-এ থেকে।

ড্যানিয়েল ভেট্টরি: দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ছেড়ে দেওয়ার পর ২০১১ সালে ড্যানিয়েল ভেট্টরিকে কিনে নিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (আরসিবি)। অধিনায়কও করা হয় কিউই কিংবদন্তি স্পিনারকে। পরের মৌসুমে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি দলে টানে শ্রীলঙ্কার ঘূর্ণি জাদুকর মুত্তিয়া মুরালিধরনকে।

অবস্থা এমন ছিল যে মুরালিকে খেলাতে বসে থাকতে হবে ভেট্টরিকে। কারণ তখন নিয়মিত পারফর্ম করছিলেন তিন বিদেশি ক্রিকেটার ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং তিলেকরাত্নে দিলশান। মুরালিকে জায়গা দিতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক ভেট্টরিই বেঞ্চে বসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।

তা ছাড়া ওই আসরে বল হাতেও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক। ভেট্টরি একাদশ ছাড়ায় আরসিবির নেতৃত্বের জোয়াল পড়ে তরুণ ক্রিকেটার বিরাট কোহলির কাঁধে। কোহলির অধিনায়কত্বে এরপর টানা তিনটি ম্যাচও জিতেছিল আরসিবি।

শিখর ধাওয়ান: শিখর ধাওয়ানের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর দাঁড়িয়ে ২০১৩ সালে প্লে অফ পর্বে উঠেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কিন্তু পরের বছর দলে ঢুকে পরেন ডেভিড ওয়ার্নার ও ২০১২ বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। ভারতীয় ওপেনার যে নেতৃত্ব হারাতে চলেছেন সেটা বোঝা গেছে তখনই।

হয়তো ধাওয়ান নিজেও অনুধাবন করতে পেরেছিলেন বিষয়টা। তাই দলের প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে ছেড়ে দেন অধিনায়কত্ব। ওই আসরে শুধু ব্যাটসম্যান ভূমিকায় হায়দরাবাদের জার্সিতে আইপিএল খেলেন ধাওয়ান।

রিকি পন্টিং: সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের তালিকা করলে নিঃসন্দেহে রিকি পন্টিংয়ের নামটা ওপরের দিকেই থাকবে। অনেক আশা করেই ২০১৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তিকে দলে টানার পাশাপাশি অধিনায়ক বানায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। শচিন টেন্ডুলকার ও হরভজন সিংয়ের মতো ক্রিকেটারকে দায়িত্ব না দিয়ে যে আশায় পন্টিংয়ের কাঁধে নেতৃত্ব তুলে দিয়েছিল মুম্বাই সেটা পূরণ হয়নি।

ছয় ইনিংসে মাত্র ৫২ রান করেছেন অজি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। একজন অধিনায়ক ও ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে এ ধরণের ব্যাটিং গড় (১০.৪) যে কোনো দলের জন্যই হতাশার। পরে একাদশ ও অধিনায়কত্ব দুটোই স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেন পন্টিং। তার পরিবর্তে অধিনায়ক করা হয় রোহিত শর্মাকে। বিধ্বংসী এই ব্যাটসম্যানের নেতৃত্বেই প্রথমবারের মতো আইপিএলের ট্রফি জেতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। গত আসরেও রোহিতের নেতৃত্বে শিরোপা জেতে মুম্বাই। সেই তিনিই এখনো মুম্বাইর নেতৃত্বে আছেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.