মির্জা ফখরুল: প্রতিমন্ত্রীর ‘রহস্যজনক’ নথিতে ১৩টি বড় ভুল

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পাসপোর্ট ও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের দেখানো নথিকে ‘রহস্যজনক’ বলছে বিএনপি। প্রকাশিত ‘নথিতে ১৩টি বড় ভুল’ রয়েছে, যা ব্রিটিশ সরকারের করতে পারে না বলেও মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টা এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রকাশিত নথির বিভিন্ন ‘অসংগতি’ তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

মন্ত্রীর প্রকাশিত নথিতে ভুলের বর্ণনা দিতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘নথির শুরুতেই ডিপার্টমেন্টের নামে ভুল রয়েছে। চিঠিতে ‘বাংলাদেশি অ্যাম্বাসি’ লেখা আছে, যা হবে ‘হাইকমিশন অব বাংলাদেশ’। এতে টেলিফোন নম্বর ও ফ্যাক্স নম্বর বড় করে দেয়াটাও ‘আনকমন’।

চিঠির উপরে চারটি পাসপোর্টের কথা থাকলেও নিচের একটি পাসপোর্টের কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, "ডিয়ার স্যার’র বদলে ‘ডিয়ার স্যারস’ লেখা আছে। শেষাংশে বড় হাতের এফ অক্ষর দিয়ে ‘ফেইথফুলি’ লেখা হয়েছে। সইকারীর কোনো নাম নেই। ব্রিটিশরা এমনটা কখনোই লিখবে না। এ সব বিবেচনায় চিঠি নিয়ে যথেষ্ট রহস্য রয়েছে।"

তারেক রহমান ‘বিশ্বের অসংখ্য বরেণ্য’দের মতো বিদেশে ‘সাময়িক রাজনৈতিক আশ্রয়’ চেয়েছেন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংগত কারণেই তিনি ব্রিটেনে আশ্রয় পেয়েছেন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে দেশটির স্বরাষ্ট্র বিভাগে তিনি তার পাসপোর্ট জমা দিয়েছেন। আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট জমা রেখেই তাকে ট্রাভেল পারমিট দেওয়া হয়েছে।’

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের পাসপোর্ট তারেক রহমানের ‘কাজে লাগছে না’ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘তিনি দেশে ফেরার মতো সুস্থ হলে অন্যান্য নাগরিকের মতোই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করবেন এবং তা অর্জনও করতে পারবেন।’