‘ব্যাড বয়’ কী আর সাধে বলা হয় তাকে!

পাকিস্তান ক্রিকেটে প্রতিভার কমতি ছিল না কখনোই, উমর আকমল নিঃসন্দেহে ওই প্রতিভাবানদের দলেই। ক্রিকেট সামর্থ্য নিয়ে কখনোই কথা উঠেনি। কিন্তু আকমল ভাইদের ছোটজনের আচার-আচরন, কথা-বার্তা সব সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়ম ভঙ্গ, সিনিয়র ক্রিকেটার বা কোচদের সাথে বাজে ব্যবহার, মারামারি করে গ্রেপ্তার এসব বিষয় উমরের ক্ষেত্রে নিয়মিত।

বড় ভাই কামরান আকমলকে সুযোগ না দেওয়ার কারণে একবার তো পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামতেই অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন! খেলতে চান না বলে একবার দেয়ালে আঘাত করে হাত কেটেছিলেন। সব মিলিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’ হিসেবে বেশ ‘প্রতিষ্ঠিত’ তিনি। বিভিন্ন অদ্ভুত কাণ্ডের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছেন অনেকবার। কিন্তু তাতে উমরের পরিবর্তন হলো কই! আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করে আলোচনায় তিনি।

পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জাতীয় দলের জার্সিতে শেষবার ওয়ানডে খেলেছিলেন উমর। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে খেলেছিলেন শেষ টি-টোয়েন্টি। টেস্ট দলের বাইরে আরও আগ থেকে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষ টেস্ট খেলেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই ম্যাচে এক ইনিংস ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে উমর রান করতে পেরেছিলেন ১৫। তারপরই বাদ, পরে আর সুযোগ মিলেনি। এতোদিন পর ২৭ বছর বয়সী তারকা ‘ক্ষেপে’ গেলেন ওই বিষয়টি নিয়েই।

পাকিস্তানের ওই সময়কার কোচ ওয়াকার ইউনুসকে ধুয়ে দিলেন উমর, ‘আপনি আমার সর্বশেষ চারটি টেস্ট ইনিংস দেখেন, আামি তিনটিতেই ফিফটি করেছি (আসলে ফিফটি করেছেন একটিতে, তার সর্বশেষ চার ইনিংস ০*, ১৫, ৩০, ৫৬)। এমন অবস্থায় ওয়াকার ইউনুস বলে দিলেন, আমি টেস্ট খেলোয়াড় নই! আপনি অন্য কোচদের জিজ্ঞেসা করতে পারেন তারা কেন আমাকে টেস্ট দল থেকে বাদ দিল।’

কোচের পদ ছাড়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে লম্বা একটা সুপারিশপত্র পিসিবিকে দিয়েছিলেন ওয়াকার। সেখানে কয়েকজন ক্রিকেটারকে কখনোই পাকিস্তান দলে না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তাতে উমরের নামটাও ছিল। সেই কারণে ওয়াকারের ওপর রাগ থাকতেই পারে উমরের। তবে শুধু সাবেক কোচ নয়, বর্তমান কোচ মিকি আর্থারকেও ‘উত্তম-মাধ্যম’ দিয়েছেন উমর।

২৭ বছর বয়সী ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি জানি না মিকি কেন আমাকে পছন্দ করেন না। আমি তো কোচ হিসেবে তাকে বেশ পছন্দই করি। তবে তার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলতে চাই না!’ যোগ করেছেন, ‘আমি আসন্ন পাকিস্তান কাপে এমন খেলবো যাতে নির্বাচকরা বাধ্য হয় আমাকে দলে নিতে!’

উমরের মন্তব্যগুলো পড়তে পড়তে মনে হতেই পারে, ‘ব্যাড বয়’ কী আর সাধে বলা হয় তাকে!