‘বলেছিলাম, পয়সা উসুল হয়ে যাবে’

এবারের আইপিএলে শুরুটা দুর্দান্তই করেছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। চার ম্যাচের তিনটিতেই জয় তুলে নিয়েছে মোহালির ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাদের এমন শুরুর নায়ক ক্রিস গেইল। পাঞ্জাব চাইলে ক্যারিবীয় ব্যাটিং দৈত্যের পিঠ চাপড়ে দিতেই পারে।

চেন্নাইর বিপক্ষে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করে দলের জয়ের মূল অবাদন রেখেছেন গেইল। তার বিধ্বংসী ব্যাটিং মাটিতে নামিয়ে এনেছে উড়তে থাকা সানরাইজার্স হায়দরাবাদকেও। গেইলের ব্যাটেই আইপিএল দেখেছে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরি।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের রাজা বলা হয় ক্যারিবীয় ড্যাশিং ওপেনারকে। অথচ সেই গেইল-ই আইপিএলের নিলামে হয়েছিলেন অবজ্ঞার শিকার। নিলামে প্রথম দুই দফায় তার প্রতি কেউ আগ্রহ দেখায়নি। শেষ অবধি ভিত্তিমূল্য দুই কোটি রূপিতে গেইলকে পাঞ্জাব দলে টেনে নেন বিরেন্দর শেবাগ।

নীরবে অপমান সহ্য করা গেইল জবাব দিলেন ব্যাট হাতে, পাঞ্জাবের জার্সিতে। ক্যারিয়ারের একুশতম সেঞ্চুরির পর গেইল বললেন, ‘শেবাগ আমাকে নিয়ে আইপিএলকে বাঁচিয়েছেন।’ পরদিন টুইটারে আবার শেবাগ লিখেছেন, ‘গেইলকে নিয়ে আমি আইপিএলকে বাঁচিয়েছি।’

আসলেই তো তাই। আইপিএল কেন যে কোনো টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট তো গেইলই সবচেয়ে বেশি মাতান। সংক্ষিপ্ততম ক্রিকেটে তাকেই ধরা হয় বিনোদনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হিসেবে। চার-ছক্কা ফুলঝুরি ছড়িয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখাটা গেইলেরও পছন্দ। তার চেয়ে বেশি দর্শক বিনোদন দিতে পারেন- এমন ক্রিকেটার খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর।

এনডিটিভিকে এক সাক্ষাৎকারে শেবাগ যথার্থই বললেন, ‘তার চেয়ে সেরা বিনোদনকারী একজনও নেই। এটা একটা কৌশল ছিল, কারণ আমাদের অন্য খেলোয়াড়দেরও কিনতে হয়েছে। প্রথম দফায় বিক্রি হলে তিনি আরো বেশি দাম পেতেন।’

গত দুই মৌসুমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে খেলেছেন গেইল। চোটাক্রান্ত গেইলকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে অধিনায়ক বিরাট কোহলির সিদ্ধান্তে। ব্যাঙ্গালুরু ও নিলামের টেবিলগুলোতে অবহেলিত গেইলকে নিয়ে শেবাগ বলেছেন, ‘কোহলিও তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমি আশায় ছিলাম যাতে তাকে কেউ না নেয়, কারণ সে আমার বয়সী।’

গেইল এখন পাঞ্জাবের সম্পদে পরিণত হয়েছেন। শেবাগ বলেছেন, ‘আমরা তাকে দুই কোটি রূপি দিয়ে কিনেছিলাম এবং বলেছিলাম, সে দুই ম্যাচ জেতালেই আমাদের পয়সা উসুল হয়ে যাবে। এখনো অনেক খেলা বাকি আছে। সে যদি আরো দুই ম্যাচ জেতায় তাহলে চার ম্যাচ জেতানো হবে। সে এখন পাঞ্জাবের সম্পদ।’