ইডেন গার্ডেনে মুগ্ধতা ছড়ালেন সাকিব

কলকাতার ইডেন গার্ডেনের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের সম্পর্কটা অনেক গভীর। টানা সাত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলেছেন। অর্থাৎ টানা সাত বছর ইডেন গার্ডেনকে ‘হোম ভেন্যু’ হিসেবে পেয়েছেন। বাংলাদেশ তারকা একবার বলেছিলেনও, ইডেন গার্ডেন আমার কাছে দ্বিতীয় হোম ভেন্যু। দ্বিতীয় হোম ভেন্যুতে বল ব্যাটে আজ মুগ্ধ করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

অবশ্য সাকিবের এই মুগ্ধতা একটুও খুশি করেনি ইডেনকে, বরং দুঃখীই করেছে! সাকিব যে আজ ব্যাট ধরেছিলেন কলকাতার বিপক্ষেই। আইপিএলের দলটির সঙ্গে এবার সাত বছরের সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। নিলামের আগে সাকিবকে ধরে রাখেনি কলকাতা। নিলামেও আগ্রহ দেখায়নি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বাংলাদেশি তারকাকে পরে ডেকে নিয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সেই হায়দরাবাদের হয়ে আজ কলকাতার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সাকিব।

প্রথমে বল হাতে, পরে ব্যাট হাতে। টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেওয়া হায়দরাবাদ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন সাকিবের হাতে বল তুলে নিয়েছিলেন পাওয়া প্লের পরেই, সপ্তম ওভারে। উইকেটে ছিলেন ক্রিস লিনের মতো বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। লিন সাকিবের ওই ওভারের ৪ বল খেলে রান নিতে পারলেন ২টি। সব মিলিয়ে সাকিবেরর প্রথম ওভারে খরচ ৩ রান।

সুনিল নারিন, ক্রিস লিনের বিপক্ষে নিজের দ্বিতীয় ওভারে রান দিলেন ৪টি। মনিশ পাণ্ডে আরেকটু মুগ্ধতা ছড়াতে পারলে সুনির নারিনের উইকেটটা ওই ওভারের শেষ বলেই পেয়ে যেতেন সাকিব। দুর্দান্ত দক্ষতায় নারিনের ক্যাচ সীমানায় ধরলেও রাখতে পারেননি পাণ্ডে। নারিন-লিনকে অতিষ্ট করতে একাদশ ওভারে আবারও সাকিবের হাতে বল তুলে দিলেন উইলিয়ামসন। ওই ওভারে ১১ রান দিলেও ঠিকই ফিরিয়ে দেন নারিনকে।  নিজের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন ক্রিস লিনকে।নিজের বলে ঝাপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে লিনকে ফেরান সাকিব। সব মিলিয়ে ৪ ওভার বল করে ২১ রানে ২ উইকেট দখল করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।

পরে ব্যাট হাতে আরও বড় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। ১৩৮ রানের জবাব দিতে নেমে ৫৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল হায়দরাবাদ। কেন উইলিয়ামসনকে সাথে নিয়ে সাকিব আল হাসানের ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়েন সেখান থেকেই। কলকাতার স্পিনাররা যখন মাথা তুলে দাঁড়াতে চাইছিল তখন বুদ্ধিদিপ্ত ব্যাটিংয়ে কেন উইলিয়ামসনের সাথে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন সাকিব। চতুর্থ উইকেটে ৫৯ রানে কার্যকরী এক জুটি গড়ে তোলেন দুজন। ম্যাচটা এতেই হায়দরাবাদের হাতে চলে আসে।

অবশ্য ম্যাচ শেষ করে আসার সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশি তারকা। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২১ বলে ২৭ রান করে। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত থাকলে সাকিবের ইনিংসটি নিঃসন্দেহে আরও বড় হতো। তবে না হয়েছে তাতে কি। যতোটা হয়েছে সেটাই কম কিসে!