চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন সালাহর

শেষ প্রান্তে আসা মৌসুমের সবচেয়ে বড় চমকের নাম মোহাম্মদ সালাহ। মৌসুমের শুরু থেকেই আলো ছড়িয়েছেন মিশরীয় সেনসেশন। ছন্দটা ধরে রেখেছেন শেষের দিকেও। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে এক দশক পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে লিভারপুল। অল রেডদের হয়ে এবার রূপালি ট্রফিটাও জয়ের স্বপ্ন দেখছেন সালাহ।

চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ম্যানচেস্টার সিটিকে উড়িয়ে দিয়েছে লিভারপুল। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রূপকথার জন্ম দেওয়া এএস রোমা। এই রোমার জার্সিতেই গত দুই মৌসুম খেলেছেন সালাহ। সাবেক ক্লাবের বাধা ডিঙিয়ে এবার আরো দূরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

লিভারপুলকে টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ শিরোপা উপহার দিতে চান সালহ। সিএনএনকে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এটা (চ্যাম্পিয়নস লিগ) জিততে পারি। আমি সবসময়ই বলে আসছি আমরা ধাপে ধাপে এগোবো। কিন্তু এখন আমরা সেমিফাইনালে। এখানে যে কোনো কিছুই ঘটতে পারে।’

লিভারপুলের মিশরীয় তারকা আরো বলেছেন, ‘আমার সেমিফাইনালে উঠেছিলাম যা অনেকের আবেগ ছুঁয়ে গেছে। আমরা এখন এটা (শিরোপা) জিততে চাই। শেষ ধাপ থেকে মাত্র দুই হাত দূরে আছি আমরা।’

ইউরোপের মঞ্চে শেষবার ১৯৭৮ সালে রোমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছিল লিভারপুলের। ওই মৌসুমে শিরোপা জয়ের পথে ইতালিয়ান ক্লাবটির স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছিল অল রেডরা। এবার তাই প্রতিশোধের জন্য মরিয়া হয়ে উঠার কথা ইতালিয়ান জায়ান্টদের। কিন্তু সালাহ অ্যান্ড কোং চাইবেন ইতিহাসের পুণরাবৃত্তি ঘটানোর।

শুধু দলীয় সাফল্যই নয়, সালাহকে হাতছানি দিচ্ছে দারুণ একটা ব্যক্তিগত অর্জনও। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে ভালোভাবেই এগিয়ে আছেন মিশর ফুটবলের সাম্প্রতিককালের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন। এই মৌসুমে ৩৯ গোল করা সালাহর লিগ গোল ২৯টি।

তার ধারেকাছেও নেই কেউ। দুইয়ে থাকা টটেনহামের ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেনের গোল সংখ্যা ২৪টি। তার পেছনে ছুটছেন ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সার্জিও অ্যাগুয়েরো (২১)। তবু গোল্ডেন বুট জেতাটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন সালাহ। বরং এই দৌড়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে এগিয়ে রাখছেন প্রিমিয়ার লিগের প্রথম ও একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টানা তিন মাসের সেরার স্বীকৃতি পাওয়া সালাহ।

তিনি বলেছেন, ‘হ্যারি কেন এবং সার্জিও অ্যাগুয়েরো দুজনই স্ট্রাইকার। তারা খেলেন নয় নাম্বারে, আমি খেলছি উইঙ্গার হিসেবে। এটা তাদের জন্য সহজ। তারা সব সময়ই গোলের সামনে থাকেন। কিন্তু আমি থাকি উইংয়ে। এটা আমার জন্য কিছুটা কঠিন, কারণ আমাকে গোলে অ্যাসিস্টও করতে হয়।’