এতো অনুপ্রেরণা কোথায় পান তুষার?

জাতীয় দলে খেলেছেন ১১ বছর আগে। সেই স্মৃতি নিশ্চয় এতো দিনে আর আগের মতো উজ্জ্বল নেই। কিন্তু তুষার ইমরানের ব্যাট ও রান করার ইচ্ছে এখনো উজ্জ্বল। তার প্রমাণ তিনি দিয়ে চলেছেন বছরের বছর। তার প্রমাণের আরো একটা নজির দেখা গেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) সদ্য শেষ হওয়া রাউন্ডে। যেখানে তিনি করেছেন জোড়া সেঞ্চুরি। তার এমন পরফর্মে মুগ্ধ দর্শকদের প্রশ্ন— এতো সেঞ্চুরির অনুপ্রেরণা তুষার পান কোথায়?

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পরপর ইনিংসে সেঞ্চুরি করার পর তুষার ইমরান সংবাদ মাধ্যমকে জানালেন, উপমহাদেশের যে ক্রিকেটাররা ৪০ বছর পেরিয়েও খেলে গেছেন, তাদের কাছ থেকেই অনুপ্রেরণা পান তিনি।

তুষার বলেন, ‘উপমহাদেশে অনেক খেলোয়াড়ই আছেন, যেমন মাহেলা জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা, মিসবাহ উল হক ও ইউনুস খান; যারা দীর্ঘদিন ক্রিকেট খেলেছেন। এদেরকে দেখে অনেক কিছু শেখার আছে। এদেরকে দেখে শিখেছি যে ৪০ বা ৪২-৪৩ বছরেও খেলা যায়। এরা খেলে গেছেন। সুতরাং আমি খেলে যেতে চাই। ৪০ বছর হয়ে গেলে আমি সিদ্ধান্ত নিবো— খেলবো কি খেলবো না।’

৩৪ বছর পেরিয়ে আসা একজন ক্রিকেটারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ফিট থাকা। তুষার তা আছেন খুব ভালো করেই। তা না হলে এতো রান তিনি করেন কীভাবে! তুষার জানালেন তার ফিটনেসের রহস্য আসলে ওই রান করার মধ্যেই।

এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘ফিট থাকাটা আসলে ২২ গজের ভিতরে। আপনি যদি রান করে যান, ফিটনেস নিয়ে তখন আপনি কাজ করবেন, কাজটা চলে আসে। রান না করলে পিছন থেকে অনেক কথা শুনতে হয়, নিজের কাছেও খারাপ লাগে। রান করলে বয়স আসলে কোনো ব্যাপার না। আমার কাছে মনে হয়, ৩০ বছরের পরে গিয়ে একজন ব্যাটসম্যান সবচেয়ে বেশি পরিণত হয়ে ওঠে।’

গত কয়েক বছর ধরে নিয়মিত পারফর্ম করে যাচ্ছেন তুষার। প্রথম শ্রেণির সর্বশেষ ছয় ইনিংসের চারটিতেই সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। একটিতে করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। ব্যাটটা যেনো তার হাতের তলোয়ার হয়ে উঠেছে!

এমন পারফর্মের পর কি জাতীয় দলের বন্ধ দরজাটা খুলে যাওয়ার প্রত্যাশা করেন তিনি— এমন প্রশ্নের উত্তরে তুষার বলেন, ‘গত তিনটা বছরে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে যেভাবে পারফর্ম করে যাচ্ছি, চেষ্টা করে যাচ্ছি; এখন নির্বাচকরা যদি একটা সুযোগ দিতে চান, দিতে পারেন। আমার চেষ্টা থাকে। কারো সহানুভূতি লাগবে না। যদি রান করতে থাকি, তাহলে এমনিতেই একদিন হয়তো সুযোগ আসবে। এটা আসলে নির্ভর করে নির্বাচকদের উপর, বোর্ডের কর্ণধার ও কর্মকর্তাদের উপর। আমার কাজ হলো আমার চেষ্টাটা করে যাওয়া।’