শুরু হয়ে গেছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ডামাডোল। প্রতিটি দল এরই মধ্যে তাদের প্রস্তুতি শেষ করে অপেক্ষা করছে মাঠে নামার। প্রস্তুতি শেষ করেছে এক সময় পুরো বাংলাদেশের সমর্থন পাওয়া কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশের সমর্থনের পাল্লা কলকাতার দিকে আর না থাকলেও আইপিএলে সব সময়ই হট ফেভারিট তারা। এবার পুরোনো কয়েকজনকে বাদ দিয়ে নতুন চেহারা নেয়া কলকাতা কতো দূর যেতে পারবে, তা নিয়ে আছে সংশয়।

how much far can kolkata go in this ipl

আইপিএল শুরু হওয়ার পর প্রথম দুই বছর, কলকাতা নাইট রাইডার্স মানেই ছিলো সৌরভ গাঙ্গুলি। কিন্তু দুই বছর পর তিনিই হয়েই পড়েন অপাংক্তেয়। দিল্লির ছেলে গৌতম গম্ভিরের কাঁধে সব ভার তুলে দেয় শাহরুখ খানের দল। টানা আটটা বছর কলকাতার নেতৃত্ব ছিলো তার কাঁধেই। গম্ভির কলকাতাকে জিতিয়েছেন দুটি শিরোপা।

কিন্তু এবার আর তাকে রাখেনি আইপিএলের ইতিহাসের অন্যতম সমর্থকধন্য দলটি। গম্ভিরের ভার এবার দিনেশ কার্তিকের কাঁধে। কলকাতার চেনা মুখ গম্ভিরের সঙ্গে এবার নেই মানিশ পান্ডেও। সব মিলিয়ে নতুন এক চেহারাই নিয়েছে দলটি।

কলকাতা যখন নিলাম থেকে তাদের দল গড়ে, তখনই মনে হয়েছিলো এবার তারা শিরোপার জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর উদ্দেশ্যেই মাঠে নামছে। দলটিতে দারুণ সম্ভাবনাময় বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আছেন। কিন্তু আইপিএলের মতো আসর জিততে শুধু সম্ভাবনার উপর ভর করে কোনো লাভ নেই।

কলকাতার স্কোয়াডের দিকে একটু মনোযোগ দিয়ে তাকালে বেরিয়ে পড়বে তাদের কিছু দুর্বলতা। দল হিসেবে কলকাতা সব সময়ই তাদের খেলোয়াড়দের আগলে রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এমন আছে, যাদেরকে আগলে রাখার পিছনে কাড়িকাড়ি টাকা খরচ করেও কোনো লাভ হয়নি। যদিও তারা অসম্ভব প্রতিভাবান এবং নিজেদের সব গুঁড়িয়ে দিতে পারেন। এবারও যদি এই খেলোয়াড়রা তেমন কিছু করতে না পারেন, তবে কলকাতার সমর্থকদের হতাশই হতে হবে।

কারা চলে গেলেন, কারা এলেন

গৌতম গম্ভির নেই, মানিশ পান্ডে, ইউসুফ পাঠান, সাকিব আল হাসান, সূর্যকুমার যাদব, উমেশ যাদব, ক্রিস ওকস ও কলিন ডি গ্রান্ডহোমও চলে গেছেন। কলকাতার নতুন চেহারা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠে আসলে এদের বিদায়েই। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় কলকাতার লোগোর মতোই হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু পেশাদার দুনিয়ায় আসলে এটা স্রেফ একটা আবেগ ছাড়া কিছু নয়।

নতুন যারা এসেছে, তাদের মধ্যে শুবমন গিল, কমলেশ নগরকোটি, শিভম মাভি ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ খেলেছেন কদিন আগেই। তরুণ হলেও এদের প্রতি বিশেষ ভরসা দেখিয়েছে কলকাতা এবং এর পিছনে তাদের ভবিষ্যত ভাবনাই বেশি কাজ করেছে। এ ছাড়া দলে এসেছেন একই মালিকের ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের জ্যাভন শার্লস। আছেন মিচেল জনসন ও ক্যামেরন ডেলপোর্টও। এ ছাড়া মিচেল স্টার্কের বদলি কম কোরান ও নিতিশ রানাও আছেন কলকাতার নতুনদের মধ্যে।

কেমন হবে দল

ব্যাটিংয়ে নাইট রাইডার্স বজায় রাখতে পারে টি-টোয়েন্টির আদর্শ ধরন। যেমন টপ অর্ডারে তুমুল ‘মারামারি’, মিডল অর্ডারে একটু স্থীরতা এবং শেষে আবার ব্যাটিং-তাণ্ডব। এবারও কলকাতায় ওপেন করতে দেখা যাবে সুনিল নারিনকে। তিন নম্বরে আছেন রবিন উথাপ্পা। পরের দিকে ক্রিস লিন, দিনেশ কার্তিক ও আন্দ্রে রাসেল। কলকাতার সফলতার বেশির ভাগই নির্ভর করবে এই কজনের উপর।

বোলিংয়ে কিছুটা সংশয়ে থাকবে কলকাতা। কারণ সুনিলের বোলিং আরো একবার সন্দেহপূর্ণ অ্যাকশনের জন্য প্রশ্নবিদ্ধ অবস্থায় আছে। এ ছাড়া মিচেল স্টার্কের অনুপস্থিতি এবং আন্দ্রে রাসেলের গত এক বছরে খুব বেশি বোলিং না করাও তাদের দুশ্চিন্তার বিষয়। এ অবস্থায় কুলদিপ যাদবকে নিতে হবে অনেক বেশি দায়িত্ব। কলকাতার বোলিং লাইনের এক্স-ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন টম কোরান।

নাইট রাইডার্স স্কোয়াড

সুনিল নারিন, ক্রিস লিন, দিনেশ কার্তিক, রবিন উথাপ্পা, আন্দ্রে রাসেল, মিচেল জনসন, পিযুস চাওলা, কুলদিপ যাদব, শুবমন গিল, ইশাঙ্ক জাগ্গি, কমলেশ নাগারকোটি, নিটিশ রানা, বিনয় কুমার, অপূর্ব ওয়াঙ্খারে, রিঙ্কু সিং, শিভম মাভি, ক্যামেরন ডেলপোর্ট, জ্যাভন শার্লস ও টম কোরান।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.