প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি: ১১ জনকেই মামলা থেকে অব্যাহতি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহন করা বিমানে কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়ার মামলা থেকে ১১ জনকেই অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এই আদেশ দেন। খবর ইউএনবি।

অব্যাহতি পাওয়া ১১ কর্মকর্তা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এসএস সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (সিস্টেম ও রক্ষণাবেক্ষণ) বিলাল হোসেন, প্রকৌশলী শামীয়ুল হক, নিরনচন্দ্র বিশ্বাস, লুৎফর রহমান, জাকির হোসেন ও এসএম রোকনুজ্জামান, প্রযুক্তিবিদ সিদ্দিকুর রহমান, প্রকৌশলী (কর্মকর্তা) নাজমুল হক এবং জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম।

এদিকে প্রযুক্তিবিদ সিদ্দিকুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার (কর্মকর্তা) নাজমুল হক এবং জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলমকে ২৮৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ৭ ডিসেম্বর, ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সনেসনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের ইন্সপেক্টর মাহবুব আলম ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর ইঞ্জিনে তেলের চাপ কমে যাওয়ার পর তুর্কমেনিস্তানের আসগাবাত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য ২৫ নভেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, বেসামরিক এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ (সিএএবি) এবং সিভিল এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম মন্ত্রণালয় মিলে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।

তদন্ত কমিটির পরামর্শে বিমানের তিনজন প্রকৌশলীসহ ৯ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ২০১৬ সালে ২০ ডিসেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা) পরিচালক (প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা) এম এম আসাদুজ্জামান বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরের দিন ডিএমপি সদর দপ্তর বিমানবন্দর থানা থেকে সিটিসিসি ইউনিটে মামলা স্থানান্তর করার নির্দেশ দেয়। পরে একই মামলায় আরো দুই কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।