যেকোনো মুহূর্তে পদত্যাগ করছেন সু চি!

যেকোন মুহূর্তে পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা এবং দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নেত্রী অং সান সু চি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সমালোচিত এই নেত্রীকে নিয়ে এমনই খবর প্রকাশ করেছে দেশটির প্রভাবশালী কয়েকটি গণমাধ্যম। সেখানে বলা হচ্ছে, সু চি তার দলের কার্য নির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে বলেছেন, ‘সম্ভব হলে দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে চাই।’

তবে গণমাধ্যমে সু চির পদত্যাগের খবর আসলেও এনএলডি’র এক মুখপাত্র সু চির এমন পদত্যাগের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন। মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত বলেছেন, ‘খবর বেরিয়েছে অং সান সু চি পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন। আমি বলবো, যাবেন না। দলের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করলে, দলের জন্য সর্বোচ্চটা করলে তবেই তিনি অবসরে যেতে পারেন। তবে এসব কথা সু চি সব সময়ই বলেন। তার মানে এই নয় যে, অল্প সময়ের মধ্যেই অবসরে যাচ্ছেন।’

গত শনিবার মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল এনএলডি’র কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ এক বৈঠকে সু চি বলেন, সম্ভব হলে তিনি পদত্যাগ করতে চান। এনএলডি প্রধান সু চির এমন মন্তব্যের পরই গণমাধ্যমে তার পদত্যাগের খবর প্রকাশিত হয়।

সু চির দলের মুখপাত্র ইউ মিও নিউন্ত বলেন, ‘নেইপিদোর বৈঠকটি শুধুমাত্র সামাজিক সমাবেশ। এখানে কোন রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়নি। কার্যনির্বাহী কমিটির পুরনো এবং নতুন সদস্যরা সামাজিক আড্ডা দিয়েছি।’

এনএলডির এই মুখপাত্র বলেন, ‘২০০৮ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী সংবিধানে সংশোধন করে। নতুন করে বিধান করা হয় সরকারি কর্মকর্তারা দলীয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু সামাজিক সমাবেশ অবৈধ নয়। ধৈর্য এবং জনগণের ওপর প্রভাব বিবেচনায় অবশ্যই তিনি দেশের প্রধান হিসেবেই থাকবেন। তবে তার বয়স এবং কাজের চাপের বিষয়টিতে আমাদের যথেষ্ট সহানুভূতি আছে। তারপরও তিনি যতদিন বাঁচবেন ততদিন দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তবে বৈঠকের এক পর্যায়ে সূচি বলেছেন, তার বয়স বাড়ছে। কর্মীদের দলের কাজে পরিশ্রমে আর উৎসাহ দিতেই তিনি অবসরে যাওয়ার কথা বলেছেন।’

এদিকে গত সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েন ৭৩ বছর বয়সী এই নেত্রী। এ ব্যাপারে এনএলডির এক সদস্য বলেন, ‘দীর্ঘ বিমান ভ্রমণের কারণে খানিকটা অসুস্থ হয়ে পড়েন সু চি। অস্ট্রেলিয়ায় বেশিরভাগ সময় তিনি বিছানায় কাটিয়েছেন।’