এলগারের শতক: প্রথম দিনেই জমজমাট লড়াই

উত্তাপ ছড়ানো কেপ টাউন টেস্টের প্রথম দুই সেশনেই রাজত্ব করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডিন এলগারের হার না মানা শতক এবং এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহের আভাস দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কিন্তু তৃতীয় সেশনে দুর্দান্তভাবেই ফিরে এলো অস্ট্রেলিয়া, প্রথম দিনেই জমিয়ে তুলল তৃতীয় টেস্ট।

৩৭ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট হারিয়ে হঠাৎ পথভ্রষ্ট স্বাগতিকরা এখন তিনশ রান করতে পারবে কিনা সেটা নিয়েই রয়েছে সংশয়। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের খেলা শেষে আট উইকেটে ২৬৬ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক প্রান্ত আগলে রেখে ১২১ রানে অপরাজিত আছেন ওপেনার এলগার। উইকেটে তার সঙ্গী আগের টেস্ট তুমুল বিতর্কের জন্ম দেওয়া কাগিসো রাবাদা (৬)।

বৃহস্পতিবার মুদ্রা নিক্ষেপের লড়াইয়ে জিতে হাতে ব্যাট তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের ইনিংসের শুরুটাও হয়েছিল ধাক্কা দিয়ে। দলীয় মাত্র ছয় রানে হারাতে হয় ওপেনার এইডেন মার্করামকে। ১১ বল খরচ করে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরে যান মার্করাম। ধকলটা প্রোটিয়ারা সামলে নিয়েছে ৮৬ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে। ৩১ রানে ফিরেছেন হাশিম আমলা। দুজনেরই ঘাতক জস হ্যাজলউড।

দ্বিতীয় সেশনের পুরোটা সময়ই অস্ট্রেলিয়াকে ভুগিয়েছেন এলগার এবং ডি ভিলিয়ার্স। তাদের ১২৮ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন করেন প্যাট কামিন্স। ৬৪ রান করা ডি ভিলিয়ার্সকে ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচে পরিণত করেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার। ভিলিয়ার্সের আউটটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় স্বাগতিকদের জন্য। দারুণ খেলতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে নেমে আসে ধস। ধস নামান কামিন্স।

অজি পেসার একে একে সাজঘরে পাঠান ডি ভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডু প্লেসি, টেম্বা বাভুমা এবং কুইন্টন ডি কককে। এই ত্রয়ীর একজনও যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। ভেরনন ফিল্যান্ডার এবং কেশব মহারাজকেও একই ভাগ্য বরণ করতে হয়। প্রথমজনকে মিচেল মার্শ এবং পরেরজনকে বোতলবন্দি করেন মিচেল স্টার্ক। ৩৭ রানের ব্যবধানে ছয় উইকেট খুইয়ে তখন পুরোদস্তুর চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা।

শেষ বিকেলে রাবাদাকে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন এলগার। সতীর্থদের এই সাজঘরে আসা-যাওয়ার মধ্যেই প্রোটিয়া ওপেনার তুলে নেন টেস্ট ক্যারিয়ারের একাদশ শতক। ১২১ রানের ঝলমলে ইনিংসটা ১৭টি চার ও এক ছক্কা সাজান তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৪ রান করা ডি ভিলিয়ার্সের ইনিংসে ছিল ১০টি বাউন্ডারি।