পুনর্জন্মের অপেক্ষায় মঈন-স্টোকস, ফিরছেন টেলরও

সপ্তাহ দুয়েক আগে ১৮১ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন। রস টেলর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে ফিরিয়েছিলেন ২-২ সমতায়। ক্যারিয়ার সেরা অজেয় ইনিংস খেলে দলকে ঠিকই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে এসেছিলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু নিজে ছিটকে গেছেন মাঠের বাইরে।

ইনজুরির কারণে পঞ্চম ওয়ানডে খেলতে পারেননি টেলর। তার দলও হেরে গেছে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে। সেই ম্যাচের দর্শক টেলর চোট কাটিয়ে ফিট হয়ে উঠেছেন; মঙ্গলবার ফিরেছেন অনুশীলনে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটি দিয়ে মাঠে ফিরছেন টেলর।

অকল্যান্ড টেস্টটা ফেরার উপলক্ষ্য হয়ে উঠছে আরো দুইজনের জন্য। তবে দুজনই ইংল্যান্ড ক্রিকেটার- মঈন আলি এবং বেন স্টোকস। তাদের সাদা পোশাকে প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষার অবসান ঘটবে দিবা-রাত্রির পাঁচদিনের এই লড়াই দিয়েই।

ব্রিস্টলের পানশালায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে পিটিয়ে জাতীয় দল থেকে নির্বাসন পেয়েছিলেন স্টোকস। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরেছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। এবার টেস্টে নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছেন ক্রিকেটের ‘ব্যাড বয়’।

নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড টেস্ট দিয়ে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে মঈন আলিরও। যিনি গত অ্যাশেজ সিরিজে ফর্মহীনতার হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন। বিদায় বলে দিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটকে। অবশেষে সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ইংলিশ স্পিন অলরাউন্ডার। মঙ্গলবার টেস্টে শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন মঈন।

শুধু ফেরার ম্যাচ বলে নয়, অকল্যান্ড টেস্টে ইংলিশ তারকা পাদ প্রদীপে থাকবেন আরো একটা কারণে। আগামীকালই যে আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চাশতম ম্যাচের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি।

নিজেকে ফিরে পেতে মরিয়া মঈন বলেছেন, ‘অ্যাশেজ সিরিজটা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। কিন্তু ওয়ানডেতে আমি দারুণ সময় কাটিয়েছি। আশা করছি ধীরে ধীরে টেস্ট ক্রিকেটেও স্বরূপে ফিরতে পারব।’