মেসি নামক আগুনে পুড়ে ছাই চেলসি

মাত্র একটা ম্যাচের ছুটি একজন ফুটবলারকে কতটা চনমনে করে তুলতে পারে সেটা বুঝিয়ে দিলেন লিওনেল মেসি। বার্সেলোনা-মালাগা ম্যাচে আর্জেন্টিনায় থাকা মেসি মাঠে ফিরলেন বীরদর্পে। ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে আবারো জ্বলে উঠলেন তিনি। মেসি নামক এই আগুনে পুড়েই ছাই হতে হলো চেলসিকে।

বুধবার উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে পশ্চিম লন্ডনের ক্লাবটিক প্রায় একাই উড়িয়ে দিয়েছেন মেসি। তার দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ন্যু ক্যাম্প থেকে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে ঘরে ফিরল অ্যান্তনিও কন্তের দল। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ববধানের জয়ে শেষ আটের টিকিট কাটল এরনেস্তো ভালভার্দের দল।

পেশাদার ক্লাব ফুটবল ক্যারিয়ারে সম্ভাব্য প্রায়সব প্রতিপক্ষকেই কম বেশি গোল দিয়েছেন মেসি। কিন্তু তার কাছে একটা ‘জুজু’র নাম হয়েই ছিল চেলসি। প্রথম লেগে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে গোল করে সেই চেলসি-দুঃখ ঘুঁচিয়েছিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। যদিও ম্যাচটা ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে।

দ্বিতীয় লেগেও চেলসির ঘাতকরূপেই হাজির হলেন মেসি। এদিন চেলসির বিপক্ষে সাবেক বর্ষসেরা ফুটবলার গোল করেছেন দুটি। ২০ মিনিটে উসমান ডেম্বেলে যে গোলটা করেছিলেন সেটারও উৎস ছিলেন মেসি। সবমিলিয়ে স্বপ্নের একটা রাতই কাটালেন তিনি।

মেসির জয়ের আনন্দ কয়েকগুন বাড়িয়ে দিয়েছে দারুণ একটা মাইলফলক। এদিন লিগের দ্বিতীয় ফুটবলার হিসেবে ১০০তম গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন মেসি। ১২৩ ম্যাচে ৩৪টি অ্যাসিস্টও আছে তার। ১১৭টি গোল নিয়ে ইউরোপের গোলদাতাদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেসির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।

ন্যু ক্যাম্পের গ্যালারি তখনো পুরোপুরি ভরে ওঠেনি। এরই মধে চেলসির জাল কাঁপিয়ে বসেন মেসি। ম্যাচের বয়স তখন মাত্র তিন মিনিট। ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন ডেম্বেলে। দুই গোল হজমের পরও লড়াইয়ে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল চেলসি। কিন্তু তাদের ফেরার সম্ভাবনা গুঁড়িয়ে দেন মেসি নিজেই। ৬৩ মিনিটে করেন ম্যাচের দ্বিতীয় ও টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ গোল।

মেসির আগুন পারফরম্যান্সের কারণে বিদায় নিতে হলো চেলসিকে। ব্লুজদের আগে আরো দুটি ইংলিশ ক্লাব ছিটকে গেছে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয় প্রতিযোগিতা থেকে। দল দুটো হলো ম্যানচেস্টর ইউনাইটেড এবং আর্সেনাল। টিকে থাকল শুধু লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার সিটি।