টি-টোয়েন্টিতে মালিকের ৩০০

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি নিয়েই থাকতে চান বলে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন। সেটাও টেস্টের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পরই। সেই সময়ে শোয়েব মালিকের এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন অনেকেই। তবে সমালোচিত হলেও যে কারণে টেস্ট ছেড়েছিলেন সেই লক্ষ্যে ভালোভাবেই এগুচ্ছেন পাকিস্তনি তারকা। প্রথম পাকিস্তানি ক্রিকেটার হিসেবে ৩০০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করলেন মালিক।

এই ৩০০ ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৯২টি। আর বাকি ২০৮টি বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্টে। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) গতকাল কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটরসের বিপক্ষে ৩০০ নম্বর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছিলেন মুলতান সুলতানস অধিনায়ক মালিক। মাইলফলকের ম্যাচটা দারুণই খেলেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৪৩ বলে অপরাজিত ৬৫ রান করেছেন।

তিনশ ম্যাচে শোয়েব মালিকের মোট রান ৭ হাজার ছয়শ ৫৩। গড় ৩৭.৫১। সেঞ্চুরি নেই, কিন্তু অর্ধশতক ৪৬টি। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯৫। তিনশ ম্যাচের ১৮১টিতে বোলিং করে মালিক উইকেট নিয়েছেন ১২৯টি। ১৩ রানে পাঁচ উইকেট ক্যারিয়ার সেরা। লম্বা যাত্রায় ৯৭টি ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেছেন মালিক। তার অধিনায়কত্বে দলের জয়ের হার ৬৯।

পাকিস্তান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, করাচি কিংস, মুলতান সুলতানস, পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স, শিয়ালকোট অঞ্চল ও শিয়ালকোট স্ট্যালিয়ন্সকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শোয়েব মালিক। রঙিন পোশাকের বর্তমান পাকিস্তান দলে শোয়েব মালিক গুরুত্বপূর্ণ এক সদস্য। বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টগুলোতেও রয়েছে পাকিস্তানি অলরাউন্ডারকে নিয়ে বেশ আগ্রহ।