ট্রাম্পের শীর্ষ অর্থ উপদেষ্টার পদত্যাগ কি বাণিজ্য যুদ্ধের ইঙ্গিত?

পদত্যাগ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরেক শীর্ষ উপদেষ্টা। ট্রাম্প প্রশাসনের অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা পদ ছাড়ার পর এবার অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কনও সরে দাঁড়ালেন। তিনি মুক্ত বাণিজ্যের একজন সমর্থক ছিলেন। তার পদত্যাগকে ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক বৈঠকে ইউরোপ থেকে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের এক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন ট্রাম্প। এ নিয়ে শুরু থেকেই নিজ দল রিপাবলিকান ও বিরোধী শিবির ডেমোক্রেটিকদের সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি। কিন্তু হোয়াইট হাউসের দাবি, এ সিদ্ধান্তের ফলে ইউেরােপর সঙ্গে বাণিজ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিলেও ট্রাম্পই জিতবেন।

নতুন এই কর সংস্কার পরিকল্পনায় গ্যারি কন নাখোশ ছিলেন বলে খবর উঠে এসেছে মার্কিন গণমাধ্যমে। তবে হোয়াইট হাউজ বলছে, গত বছরের কর সংস্কারে কনর বিশেষ ভূমিকা ছিল। তিনি দেশ সেবাকে বেশ সম্মান করতেন। তার অবদানের প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প নিজেও।

এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘হোয়াইট হাউজের শৃঙ্খলা আগের মতোই রয়েছে, কোন বিশৃঙ্খলা নেই। এখনও এমন কিছু লোক আছেন, যাদের পরিবর্তন করা দরকার।’ এরপরই ট্রম্প প্রশাসনে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্যারি কনের পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে।

সর্বশেষ গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের যোগাযোগ বিভাগের প্রধান হোপ হিকস পদত্যাগ করেন। তবে গ্যারি কন কবে নাগাদ পদত্যাগ করছেন তা এখনও জানা যায়নি। তারা দুজনেই ট্রাম্পের খুব ঘনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।