ভেন্যু একই আছে, বদলে গেছে কেবল মাহমুদুল্লাহর অনুভূতি

এক বছর আগে যে ভেন্যু থেকে এক রকম বিতাড়িত হয়েছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, এক বছর পর সেই ভেন্যুতে আবার পা পড়েছে তার। ভেন্যুটা দেখতে আগের মতোই আছে। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর অনভূতি এবার আর বিতাড়িত মানুষের মতো নয়। তা বরং বদলে গেছে অন্য অনুভূতিতে। কারণ এবার যে তিনি পি সারা ওভালে পা ফেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কায় পা ফেলেছে রোববার। একদিনের বিশ্রাম শেষে তারা সোমবার পি সারা ওভালে শুরু করেছে নিদাহাস ট্রফির অনুশীলন। এই অনুশীলনই দল নিয়ে হাজির মাহমুদুল্লাহ। পি সারা ওভালে পা রেখে নিশ্চয় এক বছর আগের স্মৃতিটাও তার মনের কোণে নড়ে উঠেছিলো। কিন্তু মাহমুদুল্লাহর উপস্থিতিতে তা বোঝা যয়নি মোটেই।

তিনি বরং সব সময়ের মতোই ছিলেন প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। অথচ দুদিন আগেই তিনি ছিলেন আবুধাবিতে। সেখানে খেলছিলেন পিএসএল। দেশের প্রয়োজনে এক দিনের ব্যবধানে সেখান থেকে ঢাকা হয়ে তিনি এখন কলম্বোতে। ফলে কিছুটা ক্লান্তি তার উপর ভর করার কথা ছিলোই। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ যেনো ক্লান্ত না হওয়ার না হওয়ার পণ করেছেন! সেটা অবশ্য তার করা উচিতই, কারণ সাকিব আল হাসান নেই। নেতৃত্বের ভার এখন তার কাঁধে। এই সময়ে তিনি যদি ক্লান্ত হন, দল চলবে কী করে!

মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে নিদাহাস ট্রফি। শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আসরের প্রথম দিনেই মাঠে নামবে স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষ ভারত। আসরে শক্তিশালী এই দুই দলকে মোকাবেলা করতে হবে মাহমুদুল্লাহদের।

কলম্বো যাওয়ার আগে শিরোপা-স্বপ্ন দেখিয়ে গেছেন মাহমুদুল্লাহ। সাকিবের বদলে নেতৃত্বের ভার কাঁধে নেয়া মাহমুদুল্লাহ এও বলেছেন যে, তাদের জন্য কাজটা সহজ হবে না। তারা একটা একটা করে ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠাকেই করেছেন প্রাথমিক লক্ষ্য।

নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশ অন্তত চারটি ম্যাচ খেলবে। আট তারিখে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে ভঅরতের বিপক্ষে। যাদের সঙ্গে এখনো টি-টোয়েন্টিতে জয়ের মুখ দেখেনননি মাহমুদুল্লাহরা। এবার ভারত পাঠিয়েছে তুলনামূলক কম শক্তির দল। ফলে এবার একটা সুযোগ আগেই পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।

কিন্তু ভারতীয় দলে যারা আছেন, তাদের সবাই নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আইপিএলেও তারা দেখিয়েছেন দারুণ দাপট। সুতরাং তাদেররকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই তামিম-মুশফিকদের সামনে।

পি সারা ওভালের পুরোনো স্মৃতি ভুলে নতুন অনভূতিতে আপ্লুত বাংলাদেশ অধিনয়ক নিশ্চয় সব চ্যলেঞ্জ সম্পর্কেই অবগত আছেন। সুতরাং দলও কিভাবে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার স্মৃতি ভুলে নতুন অনুভূতি পেতে পারে, সেই পথও নিশ্চয় তারা চেনা। এখন কেবল মাঠে চেনা পথে অটল থাকতে পারলেই হয়!