পাকিস্তান সিনেটে দলিত হিন্দু নারী, হৈ চৈ ভারতে

মুসলিম অধ্যুষিত পাকিস্তানে প্রথমবারের মতো হিন্দু দলিত নারী হিসেবে দেশটির সিনেটে জায়গা করে নিয়েছেন কৃষ্ণা কুমারী। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। পাকিস্তানের থারের বাসিন্দা ৩৯ বছর বয়সী কৃষ্ণা। তিনি বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টির সদস্য। নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন পাকিস্তানে সিন্ধু প্রদেশ থেকে।

পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ পদে সংখ্যালঘু হিন্দু নারীর এমন অবস্থান অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে পিপিপি-র হয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রথম হিন্দু নারী রত্না ভগবান দাস। স্বাধীন পাকিস্তানের প্রথম আইনমন্ত্রী ছিলেন যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিও ছিলেন তিনি। প্রতি নির্বাচনেই হিন্দুদের নানা পদে নিয়োগ দেয় পাকিস্তান। তারপরও ভারতীয় গণমাধ্যম কৃষ্ণার এই জয়কে পাকিস্তানের সংখ্যলঘু দলিত হিন্দু মহিলাদের জন্য মাইলস্টোন হিসেবে গণ্য করছে।

পাকিস্তানে স্বাভাবিকভাবেই উচ্চস্তরীয় অভিজাত মুসলমানদের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সংখ্যালঘু কোন মহিলাকে নির্বাচনে লড়ার টিকিট দেয়া হয়। কৃষ্ণা কুমারী বলেন, ‘আমি এভাবে চিন্তা করি না। দেশের হয়ে কাজ করতে চাই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্যই কাজ করেছেন। তার প্রতি অফুরান কৃতজ্ঞতা।’

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের রীতি অনুযায়ী, প্রভিন্সিয়াল এবং ফেডারেল আইন সভায় মোট ৫২ জন সিনেটারকে এবারে সিনেটের ভোটে নির্বাচিত করা হয়েছে। মোট ১৩০ জন এই নির্বাচনে লড়েন। জয়ীদের মধ্যে কৃষ্ণা কুমারী একজন।

১৯৭৯ সালে পাকিস্তানের সিন্ধুতে নগরপারকরে জন্মগ্রহণ করেন কৃষ্ণা। তিনি এবং তার আপন ভাই পিপিপি’র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিয়ের পরেও তিনি পড়াশোনা অব্যাহত রাখেন। ২০১৩ সালে কৃষ্ণা সিন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে পড়াশোনা শেষ করেন।