তামিমদের কাছে মোস্তাফিজদের এমন হার!

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। পুরো আসরে লাহোর কালান্দার্সের ব্যাটিংয়ের ভগ্নদশা বোঝাতে এই তথ্যটিই যথেষ্ট।

শনিবার রাতেও বাজে ব্যাটিংয়ের চূড়ান্ত প্রদর্শনী করেছে লাহোর। তামিম ইকবালের পেশোয়ার জালমির বিপক্ষে একশ রানে অলআউট হয়ে গেছে মোস্তাফিজের দল। চতুর্থবারের মতো অপরাজিত থেকে বাইশ গজ ছেড়েছেন মোস্তাফিজ। মামুলি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১০ উইকেট ও ৩৮ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তামিমের পেশোয়ার।

এই আসরে বাংলাদেশি পেসারের চেয়ে বেশিবার অজেয় থাকেননি কোনো ব্যাটসম্যানই। এদিন অবশ্য এক বল মোকাবেলার সুযোগ পেয়েছেন মোস্তাফিজ। বিস্ময়কর তথ্য হচ্ছে- পাঁচ ম্যাচে ‘কাটার মাস্টার’ করেছেন মাত্র এক রান! ক্রিকেটের প্রায় দেড়শ বছরের ইতিহাসে পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করে এর চেয়ে কম রান করেননি কেউ! এটা অবশ্য মোস্তাফিজের 'দোষ' তিনি আসলে বলই পাননি তেমন। 

লাহোরকে ১০০ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পর তামিম ইকবাল ও কামরাল আকমলের ব্যাটিং দৃঢ়তায় কোনো উইকেট না হারিয়ে রাজসিক জয় তুলে নেয় পেশোয়ার জালমি। আসরে এটা তামিমদের তৃতীয় জয়। পক্ষান্তরে একমাত্র দল হিসেবে পাঁচ ম্যাচের সবকটাতেই হারল মোস্তাফিজের লাহোর।

৩৫ বলে ৩৭ রানে অপরজিত থাকেন তামিম। ইনিংসে চারের মার চারটি। ৪৭ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন আকমল ভাইদের বড়জন। ৭টি চার ও দুটি ছ্ক্কায় ইনিংসটি সাজান কামরান। বল হাতে মোস্তাফিজ দুই ওভারে খরচ করেছেন ১০ রান।

শারজায় টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৪২ রান করেছিল লাহোর। ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সাজঘরে ফেরাটাই যেন লাহোরের উইকেট বৃষ্টির উপলক্ষ্য হয়ে আসে! ফখর জামান করেছেন সর্বোচ্চ ৩০ রান। ম্যাককালাম, আগা সালমান, সোহেল আখতার ও উমর আকমল প্রত্যেকেই আউট হয়েছেন উইকেটে থিতু হয়ে, দুই অংক ছুঁয়ে চারজনই। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি একজনও।

লিয়াম ডসন এবং হাসান আলি দুজন মিলে ছয় উইকেট নিয়ে লাহোরকে ধসিয়ে দেন। দুটি শিকার ওয়াহাব রিয়াজের। ওমর গুল একটি উইকেট নিয়েছেন। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন ডসন।