নায়ক হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া মোস্তাফিজের

পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) শুরু থেকেই বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। এবার মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখে ফেললেন বাংলাদেশি পেসার। মোস্তাফিজের মতো শুক্রবার রাতটা ভালো যায়নি তার দল লাহোর কালান্দার্সেরও। সুপার ওভারে হেরে গেছে তারা।

পুরো ম্যাচে নিষ্প্রভ মোস্তাফিজের হাতে সুপার ওভারের দায়িত্ব দেন লাহোর অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। পুঁজি ১৫ রানের। নায়ক হওয়ার সুযোগ আসে মোস্তাফিজের সামনে। কিন্তু পুঁজিটা বাঁচাতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশি পেসার। প্রয়োজনীয় রান তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল ও আফিস আলি। সুপার ওভারে দুটি ছয় ও এক চারসহ তারা করেন ১৯ রান। নায়ক হওয়ার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া হয় মোস্তাফিজের।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে নিশ্চিত জেতা ম্যাচটা সুপার ওভারে নিয়ে ঠেকিয়েছে লাহোর। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায় লাহোর। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে টিকে থাকলেন কেবল মোস্তাফিজ। অবশ্য কোনো বল খেলেননি তিনি।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নারাইন-ইয়াসিরদের তোপে ৯ উইকেটে স্কোর বোর্ডে ১২১ রান জমা করে ইসলামাবাদ। এর মধ্যে মোস্তাফিজ একাই খরচ করেন ৪ ওভারে ৩৯ রান। একটা উইকেটও অবশ্য পেয়েছেন তিনি।

লাহোর তো বটেই এদিন ইসলামাবাদেরও কেউ এত বাজে বোলিং করেননি। ২০ রানে তিনটি উইকেট নেন ইয়াসির শাহ। সোহাইল খানের ঝুলিতে গেছে দুই উইকেট। খালি হাতে ফেরেননি ফখর জামান, সালমান ইরশাদও। তবে উইকেটশূন্য থাকলেও ৪ ওভারে ১০ রান দিয়েছেন নারাইন।

সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুই উইকেটে ৭৭ রান পর্যন্ত তুলেছিল লাহোর কালান্দার্স। কিন্তু ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও আগা সালমান সাজঘরে ফিরতেই নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়। ২৪ রানের ব্যবধানে ৮ উইকেট খুইয়ে জয়বঞ্চিত হয় লাহোর।

সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলো দলের নয়জনেরই এক অংকে থাকতে আউট হওয়া! ম্যাককালাম ৪৯ বলে ৩৪ এবং সালমান ৩৫ বলে ৪৮ রান করেছেন। নারাইন দলীয় তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯ রান করেন। এ দিন অবশ্য সাতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন তিনি।

মূলত সামিত প্যাটেল এবং মোহাম্মদ সামি মহানাটকীয় জয় উপহার দিয়েছেন ইসলামাবাদকে; সর্বনাশ করেছেন লাহোরের। ছয় উইকেট দুজন ভাগ করে নিয়েছেন সমভাবে। তবে ম্যাচের চেহারা বদলে দেওয়ায় সামি হয়েছেন ম্যাচসেরা। সাদাব খান, আন্দ্রে রাসেল ও ফাহিম আশরাফের শিকার একটি করে।

ইসলামাবাদের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন জেপি ডুমিনি। হুসাইন তালাত ৩৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ছাড়েন বাইশগজ।

তবে শুক্রবারের দ্বিতীয় ম্যাচটা থ্রিলার উপহার দিলেও প্রথম ম্যাচটা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বেরসকি বৃষ্টি। বৃষ্টির বাধয় মুলতান সুলতানস ও করাচি কিংস ম্যাচের একটা বলও মাঠে গড়ায়নি। পরে ম্যাচ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।