বিশ্বের সর্বাধুনিক পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার

বিশ্বের সবচাইতে আধুনিক পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে রাশিয়া। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জাতির উদ্দেশ্যে দেয় এক ভাষণে ঘোষণা দিয়েছে ২০১৮ সালেই পরমাণুবাহী এই ক্ষেপনাস্ত্রটি যেকোন জায়গায় হামলা চালাতে সক্ষম হবে। ভাষণের এক পর্যায়ে ক্ষেপনাস্ত্রটির একটি ভিডিও দেখানো হয়। 

সর্বাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নাম রাখা হয়েছে ‘সারমাট’। এর গতি শব্দের গতির চেয়ে ৮ গুণ বেশি। ক্ষেপণাস্ত্রটি কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি দ্বারা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। এমনকি গুঞ্জন আছে আমেরিকার পরমাণু প্রতিরোধী ব্যবস্থা থাডও এটিকে সনাক্ত করতে পারবে না। বলা হচ্ছে, যেকোনো লক্ষ্যবস্তু নিমিষেই ধ্বংস করে দিতে পারবে সারমাট। 

বৃহস্পতিবার দেয়া ভাষণে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়ার এমন অগ্রগতি হাইপারসনিক ক্ষেপাণাস্ত্র প্রতিযোগিতায় অন্য যেকোনো দেশের চাইতে রুশদের ১৫ বছর এগিয়ে রাখবে। এটি দিয়ে রাশিয়া পৃথিবীর উত্তর বা দক্ষিণ যেকোন মেরুতে আক্রমণ চালাতে পারবে। মস্কোর ডিফেন্স কাউন্সিলের প্রধান ভিক্টর বন্দারেভ বলছেন, ‘সারমাট’ নামের ওই ক্রুজ মিসাইলটি রুশ অস্ত্রাগারে প্রস্তুত আছে।

ক্ষেপণাস্ত্রটি গতি শব্দের চাইতে আট গুণ বেশি। এটি ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারেসপ্টরকেও গুঁড়িয়ে দিতে পারে। ৪০ মেগাটন সমরাস্ত্র বহণে সক্ষম। ১৯৪৫ সালে জাপানের হিরোশিমা নাগাসাকিতে যে ভয়ঙ্কর বোমা ফেলা হয়েছিল তার চাইতেও শক্তিশালী। নিমিষেই ধ্বংস করতে পারবে ফ্রান্স বা আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশের মতো বড় বড় শহর বা দেশ।

ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করতে রাশিয়ার সময় লেগেছে ২০ বছর। রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন, মিসাইল লঞ্চারে থাকবে এই শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। এর রেঞ্চ ১০ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। 

বন্দারেভ জানান, বর্তমানে রাশিয়ার কাছে বম্বার, ট্যাকটিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্র, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম, পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ন্যাটোর সঙ্গে পাল্লা দিতে এসব ভারী অস্ত্র তৈরিতে রাশিয়ার খরচ হয়েছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। তবে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াইতে ‘সারমাট’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়াকে এগিয়ে রাখবে অন্তত এক যুগ।