কথা রাখবেন তো 'অভিমানী' মাশরাফি?

গতকাল বিসিবি সভাপতি নামজুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের সামনে এসে বেশ খোলামেলা করেই বলছিলেন, ‘আমি জানি, আমি বললে (টি-টোয়েন্টি) খেলবে মাশরাফি।’ বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘এই সিরিজেই (শ্রীলঙ্কা) তাকে খেলতে বলেছিলাম আমি। তবে জোর দিয়ে বলিনি।’ তবে আসলেই কি অবসর ভেঙে আবারও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খেলবেন মাশরাফি?

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে তার বিদায়টা যে ছিল বড্ডই বিষাদের। সাবেক কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহের চোখে টি-টোয়েন্টিতে ‘অচল’ ছিলেন মাশরাফি। কোচের সঙ্গে বিসিবির একটা অংশও তাল মেলান তাতে। বিষয়টি বিব্রতকর অবস্থায় যাতে না যায় সে কারণে গত বছর শ্রীলঙ্কার সিরিজ শেষে আন্তর্জাাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরই নিয়ে ফেলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। এই অবসরের মধ্যে যে মাশরাফির দুঃখ, আক্ষেপ, রাগ, ক্ষোভ মিশে ছিল একথা না বললেও চলে।

বলা হচ্ছিল সাকিব আল হাসানের কাঁধে নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বকাপের জন্য দল গোছানো হবে। কিন্তু টানা দুই সিরিজে চরমভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর দেশের মাটিতেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ হতে হলো। অবস্থা বেগতিক দেখে এবার ঠিকই মাশরাফির কথা মনে পড়ছে বিসিবির।

কিন্তু এই অবস্থায় কি ফিরে আসবেন মাশরাফি? দুদিন আগে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে একান্ত সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় অনেক বিষয়ে কথা বলেন ম্যাশ। সেখানে টি-টোয়েন্টিতে ফেরা নিয়েও কথা বলেছিলেন। জানিয়ে দিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টিতে ফেরার চিন্তা নেই তার।

মাশরাফি বলেন, ‘যেহেতু ছেড়ে দিয়েছি তাই টি-টোয়েন্টিতে ফেরার আসলেই কোন ইচ্ছা নেই আমার। আমার মনে হয়, তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার খুব ভালো সময় এটা। আবু হায়দার রনি, আবু জায়েদ রাহিরা উঠে আসছে। ওদের টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ করে দেওয়া উচিত যাতে তৈরি হতে পার, জাতীয় দলকে লম্বা সময় ধরে সার্ভিস দিতে পারে।’

তবে মাশরাফি এই কথাগুলো তার মনের নাকি পরিস্থিতির দাবি মেটাতেই বললেন সেই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।