উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়ল সেতু!

টাঙ্গাইলে উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়েছে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি সেতু। মাত্র তিনমাস আগে সমাপ্ত হয় সেতুটির নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও প্রকল্প কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের অবেহেলার কারণে সেতুটি উদ্বোধনের আগেই হেলে গিয়েছে। এটি ধসে গিয়ে যে কোনো সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তা দাবি করেছেন, পানির স্রোতের কারণেই সেতুটি হেলে পড়েছে। তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষাবলম্বন করে জানান, নির্মাণে কোনো রকম গাফলতি ছিল না।

উপজেলা সদরে যাতায়াতে অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ এ সেতুটি ব্যবহার করতেন। কিন্তু সেটি ধসে পড়ার আশঙ্কায় এখন ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করতে হয়েছে স্থানীয়দের। এখন প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে হচ্ছে।

জানা যায়, ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় মোট ১২৮টি সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে ৭টি সেতু রয়েছে। বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ফুলকি-ফুলবাড়ি রাস্তার নিকরাইল টেংরাখালী সেতুর কাজ পায় মেসার্স আব্দুল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ৫৪ লাখ ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে এ সেতুটির নির্মাণ কাজ প্রায় তিন মাস আগে শেষ হয়।

সেতু নির্মাণের সময়ই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রড, সিমেন্টসহ নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠে। এ ব্যাপারে স্থানীয়রা মৌখিকভাবে একাধিকবার অভিযোগ করলেও কর্ণপাত করেননি বাসাইল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার ও প্রকল্প কর্মকর্তার গাফলতির কারণেই সেতুটি নির্মাণে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বাসাইল উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে পানির স্রোতের কারণে সেতুটি হেলে পড়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’