চীনের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী এস-৪০০

চীনের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসকারী এস-৪০০ সরবরাহ করা শুরু করেছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানায়, ২০১৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী অত্যাধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের প্রথম চালান চীনে পৌঁছেছে।

প্রথম চালানে যেসব সামগ্রী পাঠানো হয়েছে সেগুলো হলো-একটি কন্ট্রোল স্টেশন, একটি রাডার স্টেশন, জ্বালানি ও সহায়ক যন্ত্রপাতি। এছাড়া প্রয়োজনীয় বিভিন্ন যন্ত্রাংশও রয়েছে এতে। চুক্তি অনুযায়ী, এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রযুক্তি বা উৎপাদন করতে পারবে না। ইতিমধ্যে মস্কো এস-৪০০ পরিচালনার জন্য চীনা সামরিক বাহিনীর একটি প্রকৌশলী দলকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

চীন ও রাশিয়ার মধ্যে এস-৪০০ সরবরাহের চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও তা প্রথম দিকে গোপন রাখা হয়। চুক্তির প্রায় এক বছর পর ২০১৫ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সামরিক উপদেষ্টা ভ্লাদিমির কোঝিন এ সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এ চুক্তির কথা জানান।

প্রসঙ্গত, রাশিয়ার কাছ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ক্রয়কারী প্রথম দেশ চীন। দ্বিতীয় ক্রেতা হিসেবে রয়েছে তুরস্ক। ২০১৭ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাশিয়া জানায়, তুরস্ক ২.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে মস্কোর কাছ থেকে দু’টি এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কিনছে। ন্যাটোর দ্বিতীয় শক্তি তুরস্ক এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের পর বিশ্ব মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা তৈরি হয়।

সৌদিও পাচ্ছে এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা: রাশিয়া থেকে অত্যাধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০ সরবরাহের বিষয়ে একটি চুক্তি করেছে সামরিক শক্তির দিক দিয়ে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ তুরস্ক। গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্কের সঙ্গে রাশিয়ার এ চুক্তির সম্পন্ন করে এরদোয়ান সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, রাশিয়া ২০২০ সালে তুরস্কে এস-৪০০ প্রথম সরবরাহ করবে। এশিয়ান টাইমস জানায়, তুরস্কের এ চুক্তির কারণে ন্যাটো সদস্যরা দেশটির ওপর নাখোশ।

এদিকে ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করেছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ সৌদি আরব। গত বছরের অক্টোবরে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ রাশিয়া সফরের সময় এস-৪০০ কেনার বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

সূত্র: তাস, রয়টার্স, আনাদলু