ওয়ানডের ‘রেকর্ড’ সেঞ্চুরি থেকে দুই ধাপ দুরে শেরে বাংলা

সোমবার মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। একই মাঠে ১৭ তারিখে ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে। ওই ম্যাচের মধ্য দিয়ে অসাধারণ এক অর্জন হতে যাচ্ছে মিরপুর স্টেডিয়ামের। বিশ্বের ষষ্ঠ স্টেডিয়াম হিসেবে ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজনের সেঞ্চুরি করতে যাচ্ছে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। এখন পর্যন্ত মিরপুরে ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৯৮টি।

শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের ম্যাচটার মধ্য দিয়ে একটা রেকর্ডও হয়ে যাবে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের। এখানে শততম আয়োজিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৭ জানুয়ারি। অর্থাৎ ১১ বছরেই একশ ওয়ানডে আয়োজিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে আধুনিক স্টেডিয়ামে। যেটা রেকর্ড, এতো কম সময়ে কোনো স্টেডিয়ামে একশ ওয়ানডে আয়োজিত হয়নি। 

ওয়ানডে আয়োজনের সেঞ্চুরি করা বাকি পাঁচ স্টেডিয়াম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড, অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব ও শ্রীলঙ্কার আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম।

২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডেতে যাত্রা শুরু হয় শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। মিরপুরে ওয়ানডেই অনুষ্ঠিত হয়েছে সবার আগে। তারপর প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৭ সালের মে মাসে। প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর।

১১ বছর আগে যাত্রা শুরু করার পর বাংলাদেশকে কতো স্মৃতিই উপহার দিয়েছে মিরপুর স্টেডিয়াম। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডকে এই মাঠে ৪-০ ব্যবধানে সিরিজ হারিয়েছিল সাকিব আল হাসানের বাংলাদেশ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে আবার মুশফিক-সাকিব-নাসিররা ডুকরে কেঁদেছিলেন এই মাঠেই। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে এই মাঠেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।

তবে সম্প্রতি সময়ে মিরপুর সুখস্মৃতিই বেশি এনে দিচ্ছে বাংলাদেশকে। গত বিশ্বকাপের পর দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের অংশ মিরপুর স্টেডিয়াম। এই মাঠে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও টেস্টও জিতেছে বাংলাদেশ।

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। এই মাঠে ৭১ ম্যাচ খেলে ৩৩.৪০ গড়ে ২৩০৫ রান করেছেন তামিম। দুই নম্বরে সাকিব আল হাসান (৭৩ ম্যাচে ২২১৪ রান), তিন নম্বরে মুশফিকুর রহিম (৭৮ ম্যাচে ২০৭৭)। সর্বোচ্চ ইনিংস অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসনের। ২০১১ সালে ৯৬ বলে অপরাজিত ১৮৫ রানের অতিমানবীয় এক ইনিংস খেলেছিলেন ওয়াটসন।

সর্বোচ্চ উইকেট সাকিব আল হাসানের। ৭৩ ওয়ানডে খেলে মিরপুর স্টেডিয়ামে ১০৩ উইকেট দখল করেছেন সাকিব। দুই নম্বরে মাশরাফি বিন মর্তুজা (৫৬ ওয়ানডেতে ৮৪ উইকেট), তিনে আব্দুর রাজ্জাক (৫২ ওয়ানডেতে ৭৫ উইকেট)। ইনিংস সেরা বোলিং ভারতীয় পেসার স্টুয়ার্ট বিনির । ২০১৪ সালে মাত্র ৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।