৩৮ বলে ১১৬, চার-ছয় থেকেই ১০৪!

দুইবার আইপিএল শিরোপা এনে দিলেও গৌতম গম্ভিরকে ধরে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। গম্ভিরকে নিলামে তোলা হচ্ছে এবার। কলকাতা থেকে যেমন পেতেন তেমন ‘ভালো দর’ ধরে রাখতে হলে নিলামের আগে দারুণ পারফরম্যান্স দেখাতেই হবে। কদিন আগে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক করে গম্ভির দেখিয়েছিলেনও। তবে আজ পারেননি। ৩৩ বলে ৩০ করে অপরাজিত ছিলেন। কদিন বাদেই নিলাম, একথা ভুলে ব্যাটিংয়ের সময় তাহলে কি অন্য কোথাও মনোযোগ আটকে গিয়েছিল গম্ভিরের? এমনটা কিন্তু হতেও পারে!

অন্যপ্রান্তে তরুণ ঋষভ পান্ট যে ব্যাটিংটা করলেন সেটার মোহে পড়ে নিজের ব্যাটিংয়ের মনোযোগ হারিয়ে ফেলতেও পারেন গম্ভির! আবার এমনও হতে পারে, পান্টের ঝড় লম্বা করতেই নিজে দ্রুত গতিতে রান তুলছিলেন না। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে আজ ব্যাট হাতে রীতিমতে বিস্মিত করেছেন পান্ট।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানের সংগ্রহ গড়েছিল হিমাচল প্রদেশ। পরে জবাব দিতে নেমে গম্ভিরের ওই ৩৩ বলে ৩০ রানের ইনিংসের সত্ত্বেও মাত্র ১১.৪ ওভারেই দশ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে দিল্লি।

ঋষভ পান্টের ঝড়টা কতো গতির ছিল এতে আন্দাজ করতে পারছেন হয়তো! গম্ভিরের সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমে মাত্র ৩৮ বল খেলতে পেরেছেন পান্ট। এই ৩৮ বলে দিল্লির জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় তার রান ছিল ১১৬! স্ট্রাইকরেট ৩০৫.২৬, বিস্ময় ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে! সেঞ্চুরি নিশ্চিত করেছেন ৩২ বলের মাথায়।

পান্ট ইনিংসে চার হাঁকিয়েছেন ৮টি। চারের চেয়ে ছক্কাতেই বেশি ঝোঁক ছিল তার। ছক্কা মেরেছেন ১২টি। অর্থাৎ ১১৬ রানের মধ্যে চার-ছয় থেকেই এসেছে ১০৪ রান! ক’দিন পরই আইপিএল নিলাম। ঋষভের দাম কোথায় গিয়ে ঠেকে কে জানে! এক ইনিংস বিচার করে আকাশ ছোয়া দামে ক্রিকেটার কেনার বহু নজির আছে আইপিএলে।