‘এখনো মুশফিকই আমাদের প্রথম উইকেটরক্ষক’

তার কিপিং দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে প্রায়ই। সেই প্রশ্ন আবার তলিয়ে যায় তার ব্যাটিং সাফল্যের দ্যুতিতে! ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই এই ব্যাপারটা ছায়াসঙ্গী হয়ে থেকেছে মুশফিকুর রহিমের। অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে সামান্যই। এর মধ্যেই বিসিবির প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বললেন, সীমিত ওভারের ক্রিকেটই মুশফিক এখনো বাংলাদেশের প্রথম উইকেটরক্ষক।

জিম্বাবুয়ে- শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ১৫ জানুয়ারি থেকে সাত ম্যাচের একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। তার আগে আজ রোববার দল ঘোষণা করলো বিসিবি। ঘোষিত দলে মুশফিকের সঙ্গে আছেন আরো দুজন উইকেটরক্ষক— এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ মিঠুন।

সঙ্গত কারণেই তা প্রশ্ন উঠেছিলো যে, মুশফিকের ভূমিকার কোনো রদবদল ঘটবে কিনা। কারণ তার উইকেটকিপিং নিয়েও চাপা অসন্তোষ বিরাজ করে প্রায় সব সময়ই। এই প্রশ্নের উত্তরে মিনহাজুল যা বললেন, তাতে মনে হলো রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে উইকেটের পিছনে মুশফিকের জায়গাটা যথেষ্টই পাকাপোক্ত।

মিনহাজুল বলেন, ‘দলে তিনজন উইকেটরক্ষক আছে। তবে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে এখনো আমাদের প্রথম পছন্দ মুশফিকুর রহিমই। সে দীর্ঘদিন ধরে উইকেটের পিছনে দক্ষতার স্বাক্ষর দিয়ে আসছে। কোনো কারণে মুশফিক উইকেটের পিছনে না দাঁড়ালেও আমাদের বিকল্প কিপাররা প্রস্তুত থাকবে।’

মিনহাজুলের এই কথা অবশ্য অবাক হওয়ার মতো কিছুই নয়। কারণ ২০১৭ সাল শেষে বিশ্বের বড় তিনটি সংবাদ সংস্থা তাদের নির্বাচিত টেস্ট একাদশে মুশফিককে মুশফিককে উইকেটরক্ষক এবং ব্যাটসম্যান হিসেবে বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ মুশফিকের উইকেটকিপিং নিয়ে সামান্য সমালোচনা থাকলেও, তার ব্যাটিং দক্ষতার কাছে সেটা খুব একটা গুরুত্ব পায় না। 

মুশফিক নিজেও নানা সময়ে উইকেটের পিছনে দাঁড়ানোর বিষয়ে তার আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছার কারণে গত দুই বছরে একাধিকবার গ্লাভস ছাড়তে হয়েছে তাকে। তবে নির্বাচকদের পক্ষ থেকে সব সময়ই কিপিংয়ের বিষয়টি মুশফিকের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ১৬৭ ম্যাচে কিপিং করেছেন মুশফিক। এতে ১৪১টি ক্যাচ এবং ৪০টি স্ট্যাম্পিংয়ের রেকর্ড আছে তার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২৬ ম্যাচে কিপিং করেছেন খালেদ মাসুদ পাইলট। বিজয় কিপিং করেছেন সাতটি ম্যাচে।