বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে ‘বর্ষসেরা’ নেইমার

লিওনেল মেসি, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো দুইজন ‘বিস্ময়’ ফুটবলারের যুগে জন্মেছেন বলে আক্ষেপ করেন নেইমারের অনেক ভক্তরা। তবে কেউ কেউ আবার মনে করেন, বেশি দিন এমন আক্ষেপ করতে হবে না। সামনের কয়েক বছর পরই বিশ্ব ফুটবলে রাজত্ব কায়েম করে বসবেন নেইমার। বল পায়ে নেইমার যা করছেন আর মেসি-রোনালদোর বয়সের কথা চিন্তা করে নিকট ভবিষ্যতে নেইমারের রাজত্ব যথেষ্ট সম্ভবও। ব্রাজিল ফুটবলে তো রাজত্ব কয়েম করে বসেছেন অনেক আগ থেকেই।

অনেকদিন যাবত ব্রাজিলের শীর্ষ ফুটবলার নেইমার। গত বিশ্বকাপে ব্যর্থ হলেও অলিম্পিকে নেইমারের কাঁধে ভর করেই স্বর্ণ জিতেছে ব্রাজিল। তার আগে ব্রাজিলকে ফিফা কনফেডারেশনস কাপ জিতিয়েছেন নেইমার। আগামী রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা নেইমারের হাতে দেখছেন অনেকে। ক্লাব ফুটবলে মাঠে রীতিমতো ফুল ফোটাচ্ছেন ২৫ বছর বয়সী তারকা।

বার্সেলোনা ছেড়ে চলতি মৌসুমের শুরু দিকে পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন। ফ্রান্সে গিয়ে যেন আরো ধারালো হয়েছেন নেইমার। এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচ খেলে ১৭ গোল করে ফেলেছেন। গোল করিয়েছেন দশটির মতো। এমন পারফরম্যান্সে স্বাভাবিকভাবেই ইউরোপে খেলা ব্রাজিলের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়ার কথা ছিল নেইমারের, হয়েছেনও।

তৃতীয়বারের মতো সাম্বা গোল্ড ট্রফি জিতেছেন নেইমার। ২০০৮ সাল থেকে সাংবাদিক, সাবেক পেশাদার ফুটবলার ও সমর্থকদের ভোটে ইউরোপে খেলা ব্রাজিলের সেরা ফুটবলার নির্বাচিত করে সাম্বা গোল্ড ট্রফি দিয়ে আসা হচ্ছে। ২০১৭ সালে অনেকটা এগিয়ে থেকেই ব্রাজিলের বর্ষসেরা ফুটবলারের ট্রফিটি জিতেছেন পিএসজি তারকা।

সব মিলিয়ে নেইমার ভোট পেয়েছেন ২৭.৭১ শতাংশ। দ্বিতীয় হওয়া লিভারপুলের ফিলিপে কুতিনহো পেয়েছেন ১৬.৬৬ শতাংশ ভোট। ১৪.৪৩ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার মার্সেলো। এরপরের অবস্থান যথাক্রমে বার্সেলোনার পাওলিনহো, রিয়াল মাদ্রিদের কাসেমিরো ও ম্যানচেস্টার সিটির গ্যাব্রিয়েল জেসুস।

এর আগে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে সাম্বা গোল্ড ট্রফি জিতেছিলেন নেইমার। নেইমার ছাড়া তিনবার ব্রাজিলের বর্ষসেরা পুরস্কার জিততে পেরেছেন কেবল থিয়েগো সিলভা।