টেস্ট পাঁচ দিন হওয়ার কি দরকার, চার দিনই তো বেশি!

টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে চার দিনের টেস্ট আয়োজনের চিন্তা অনেক আগ থেকে করা হচ্ছিল। কিন্তু টেস্টের আসল স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে মনে করে ক্রিকেট রসিকরা বিরোধিতা করে আসছেন সেই শুরু থেকে। ক্রিকেটের আসল ‘রস’ তো টেস্ট ক্রিকেটেই। তবে এসব কথা একপাশে রেখে পোর্ট এলিজাবেথে শুরু হয়ে গেছে চার দিনের টেস্ট। চার দিনের টেস্ট খেলতে নেমে জিম্বাবুয়ে বুঝাল, টেস্ট ম্যাচ পাঁচ দিন হওয়ার কি দরকার, চার দিনই তো বেশি!

ইতিহাসের প্রথম চারদিনের দিবারাত্রির টেস্ট খেলতে নেমে দুই দিনেই যে হেরে বসল জিম্বাবুয়ে! টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের দ্বিতীয় সেরা দল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর জিম্বাবুয়ে দুই বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন কাটিয়ে টেস্ট আঙ্গিনায় ফিরেছে সবে। একতরফা লড়াই হতে যাচ্ছে সেটা আগে থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল। কিন্তু এতোটা একতরফা হবে ভেবেছিলেন ক’জন!

মার্করামের সেঞ্চুরিতে টেস্টের প্রথম দিনে ৯ উইকেটে ৩০৯ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস শুরু করতে নেমে প্রথম দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে ৩০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সেখান থেকে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে রীতিমতো যাঁতাকলে পিষ্ট হওয়ার মতো অবস্থা জিম্বাবুয়ের।

মর্নে মরকেলের পেসে নাস্তানাবুদ হয়ে মাত্র ৬৮ রানে প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। চলতি বছর টেস্টে এটা যে কোনো দলের সর্বনিম্ন স্কোর। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুই অঙ্কের কোঠা স্পর্শ করতে পেরেছেন কেবল কাইল জারভিস (২৩) ও রায়ান বুর্ল (১৬)। মনে মরকেল ১১ ওভার বোলিং করে ২১ রানে ৫ উইকেট দখল করেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই দ্বিতীয় ইনিংসে আর ব্যাট করতে নামেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে নেমেও সেই আগের হালই। ১২১ রানেই গুটিয়ে গেছে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে কেশভ মহারাজ ৫৯ রানে ৫ উইকেট দখল করেছেন। জিম্বাবুয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৩ করেছেন ক্রেইগ আরভিন।

সব মিলিয়ে চার দিনের একমাত্র টেস্ট ম্যাচে দুদিন না যেতেই ইনিংস ও ১২০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।