বিপিএল শেষেই ফের বিজয়ের ভেল্কি

একটা সময় জাতীয় দলে তামিম ইকবালের নিয়মিত সঙ্গী ছিলেন এনামুর হক বিজয়। ২০১২ সালের নভেম্বরে অভিষেকের পর ওয়ানডেতে নিয়মিত ওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে দেখা যেতো বিজয়কে। কিন্তু গত বিশ্বকাপে ইনজুরির দুর্ভাগ্যে হারিয়ে যাওয়ার পর আর খবর নেই তার। বিজয়ের জায়গায় নিজেকে প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন সৌম্য সরকার। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে দারুণভাবে নজর কাড়েন সৌম্য। এই ফাঁকে বিজয়কে ভুলে বসেন অনেকেই। 

কিন্তু এখনও কি বিজয়কে ভুলে থাকার সময়? বেশ লম্বা সময় ধরে বাজে খেলছেন সৌম্য সরকার। ‘কোচের বিশেষ পছন্দ’ এমন কথা বলেও অনেকে সমালোচনা করেছেন সৌম্যর দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে। সৌম্যকে ফর্মে ফেরানোর চেষ্টার কোন কমতি করা হয়নি, কিন্তু লাভ হয়নি। মাঝে কয়েক ম্যাচ সৌম্যকে বসিয়ে লিটন দাসকে দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছিল। লিটনও ওপেনিংয়ে তামিমকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।

একদিকে সৌম্য, লিটনরা যখন টানা ব্যর্থতায় বন্দি তখন আলোচনার বাইরে থাকা বিজয় রানের বন্যা বইয়ে দিয়ে চলেছেন। চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন বিজয়। ক্যারিয়ার সেরা ২১৬ রানের ইনিংসটি খেলেছেন চলতি জাতীয় লিগেই। তার আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন বিজয়। কদিন আগে শেষ হওয়া পঞ্চম বিপিএলটাও খারাপ কাটেনি। ৭৩ ও ৬২ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলেছেন চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে। বিপিএলে ৮ ম্যাচে ২০৬ রান বিজয়ের।

বিপিএল শেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে নেমেই দেখালেন আরেক ভেল্কি। ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে খুলনার হয়ে শুক্রবার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি। সাভারের বিকেএসপিতে সৌম্য সরকারের সঙ্গেই ওপেনিং করতে নেমেছিলেন। সৌম্য বরাবরের মতো আবারো ব্যর্থ, ৩০ রান করে আউট হয়েছেন। অন্য দিকে ব্যাটিং কারিশমা দেখিয়েছেন বিজয়। ২০৬ বলে ১৬৭ রান করে কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিলেন।

সুযোগ কাজে লাগিয়ে আজ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিতে একটুও ভুল করেননি ছয়দিন আগে ২৫ নম্বর জন্মদিনের কেক কাটা বিজয়। আজ শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ২০২ রান করে। ডানহাতি ওপেনারের ২৫১ বলের ইনিংসে চারের মার ছিলো ২৩টি আর ছক্কা ৪টি। এনামুল হক বিজয়ের এমন ব্যাটিং দুদিন ধরে চেয়ে চেয়ে দেখলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু জাতীয় দলের নির্বাচকরা দেখলেন তো!