‘আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে চাই’

দেশের মাটিতে দুই বছর আগে অনুষ্ঠেয় আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছিলো বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত এই আসরে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি। ওই বছরের অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলেছিলেন পিনাক ঘোষ। তিনি আছেন এ বছরের বিশ্বকাপেও। যা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে নিউজিল্যান্ডে। চলতি মাসের ২৬ তারিখে নিউজিল্যান্ডে উড়ে যাবে বাংলাদেশের যুবারা। তার আগে বুধবার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে পিনাক বললেন, ‘আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে চাই।’

পিনাক যদিও বিশ্বকাপ জয়ের কথা বলছেন, বাস্তবে এ বছর সে সম্ভাবনা বাংলাদেশের নেই। দেশের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আসরের তুলনায় এবারের বাংলাদেশ দল কিছুটা হলেও দুর্বল। তারপরও বাংলাদেশ অভাবনী কিছু করে ফেলতে পারে, যদি ওপেনিংয়ে পিনাক দারুণ কিছু করে দেখান।

সেটা করার জন্য নিজেকে আত্মবিশ্বাসী বলেই দাবি করেছেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘যেহেতু দল চায় আমি আরো দায়িত্ব নিয়ে খেলি, আমিও এটাই করতে চাই। আমি আরো একটা বিশ্বকাপ খেলেছি। দায়িত্ব তাই অনেক। আমি এই দায়িত্ব পালন করতে চাই। দলকে যেনো একটা ভালো শুরু এনে দিতে পারি এবং তা সামনে ধরে রাখতে পারি। সেটাই উদ্দেশ্য।’

পিনাক মনে করেন গত বিশ্বকাপে খেলা যে কজন বাংলাদেশ দলে আছে, তারা এবার ভালো করতে পারবে। এ ছাড়া দলের অন্যেরাও দারুণ আত্মবিশ্বাসী বলে মনে করেন তিনি। পিনাক বলেন, ‘এশিয়া কাপটা (অনূর্ধ্ব-১৯) ভালো গেছে। আমাদের দলের সবাই দারুণভাবে প্রস্তুত। বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং; সব বিভাগেই সবাই ভালো করছে। সব মিলিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী।’

বাংলাদেশের অবশ্য আত্মবিশ্বাসী হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারণ এবারের খেলাটা হবে নিউজিল্যান্ডে। সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের তরুণদের কোনো পরিচয়ই নেই। সুতরাং আত্মবিশ্বাসের বলে বলিয়ান না হলে সেখানে গিয়ে ভালো কিছু করা বাংলাদেশের জন্য কঠিনের চেয়েও বেশি কঠিন।

পিনাক তাই শোনালেন আত্মবিশ্বের বাণীই। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন নিয়ে চিন্তা করছি না। মাশরাফি ভাই, সৌম্য ও মোসাদ্দেক ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, কন্ডিশন খুব বেশি কঠিন হবে না। এ ছাড়া আইসিসির ইভেন্টে উইকেট সাধারণত কঠিন হয় না। আমরা তাই কন্ডিশন নিয়ে চিন্তিত নই।’

এরপরই পিনাক বললেন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নের কথা, প্রত্যাশার কথা। তাই বলে অতি আত্মবিশ্বাসে ভেসে যাননি তিনি। বাস্তবতার নিরিখেই শুনিয়েছেন স্বপ্নের কথা। পিনাক বলেন, আমরা গতবার সেমিফাইনাল খেলেছি। এবার প্রাথমিক লক্ষ্য থাকবে ম্যাচ বাই ম্যাচ এগিয়ে যাওয়া এবং অন্তত সেমিফাইনাল খেলা। তারপর… আমরা অবশ্যই বিশ্বকাপ জিততে চাই।’

বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা যতোটা সহজ, পূরণ করা যে সে তুলনায় অনেক অনেক বেশি কঠিন, সেটা ভালোভাবেই জানা আছে পিনাকের। এ জন্য যে দলীয় প্রচেষ্টায় অবিশ্বাস্য কিছু করতে হবে, সেটাও অজানা নয় এ তরুণের।

পিনাক মনে করেন দল হিসেবে একসঙ্গে জ্বলে উঠাটাই হতে পারে বিশ্বকাপে স্মরণীয় কিছু করার একমাত্র উপায়। পিনাক বলেন, ‘দল হিসেবে খেলাটাই বড়। দেখা গেছে টপঅর্ডার ভালো খেলতে না পারলে, আমাদের মিডল অর্ডার ভালো খেলছে। এশিয়া কাপে এমন দেখা গেছে। দল হয়ে উঠার পথে এটা আমাদের কাজে লাগবে।’