গেইলের এক ইনিংসে ছয়টি দারুণ রেকর্ড

৫১ বলে অপরাজিত ১২৬ রান; ক্রিস গেইলের খেলা অবিশ্বাস্য ইনিংসগুলোর তালিকায় যোগ হলো আরো একটি ইনিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এলিমিনেটর ম্যাচে আজ এই ইনিংসটি খেলেন গেইল। ইনিংসটি খেলার পথে ছোট-বড় ছয়টি দারুণ রেকর্ড গড়েন তিনি।

গেইলের ১২৬ রানের ইনিংসটিতে ভর করে এলিমিনেটরের ১৬৮ রানের কঠিন লক্ষ্য ছুঁয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে উঠেছে রংপুর। পক্ষান্তরে আরো একবার শেষ চার থেকে বিদায় নিয়েছে খুলনা টাইটান্স।

৪— আজকের সেঞ্চুরিটি বিপিএলে গেইলের চতুর্থ সেঞ্চুরি। গেইল ছাড়া বিপিএলে আর কারো একাধিক সেঞ্চুরি নেই। বিপিএলে গেইলের চতুর্থ ইনিংসটি থামে ১২৬ রানে গিয়ে। যা আবার বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। এর আগে সর্বোচ্চ ছিলো সাব্বির রহমানের ১২২ রান।

১৪— ১২৬ রানের ইনিংস খেলার পথে গেইল ১৪ বার বল আছড়ে ফেলেন সীমানার বাইরে। বিপিএলের এক ইনিংসে এতো ছয় নেই আর কোনো ব্যাটসম্যানের। মজার ব্যাপার হলো এর আগে একবার ১২টি, একবার ১১টি এবং একবার ১০টি ছয় মেরেছিলেন গেইল। বিপিএলে আর কোনো ব্যাটসম্যান নয়টির বেশি ছয় মারতে পারেননি কখনো।

১৪— এবার নিয়ে ১৪তম বার টি-টোয়েন্টির এক ইনিংসে ১০টি বা এর চেয়ে বেশি ছয় মারলেন গেইল। এতোবার দূরে থাকে, দুইবারের বেশি আর কোনো ব্যাটসম্যান টি-টোয়েন্টিতে ১০ বা এর চেয়ে বেশি ছয় মারতে পারেননি। দুইবার করে ১০টি বা এর চেয়ে বেশি ছয় মারা ব্যাটসম্যানরা হলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, দাসুন শানাকা এবং এভিন লুইস।

১৯— এই ইনিংসটি টি-টোয়েন্টিতে গেইলের ১৯তম সেঞ্চুরি। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, টি-টোয়েন্টিতে এতো বেশি সেঞ্চুরির ধারেকাছেও কেউ নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাতটি করে সেঞ্চুরি আছে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, লুক রাইট ও মাইকেল ক্লিঞ্জারের।

১২৬*— এই ইনিংসটি হলো কোনো টি-টোয়েন্টি লিগের নকআউট পর্বে বা এলিমিনেটরে সর্বোচ্চ রান। এর আগে ১২৩ রান করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১১ সালের টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে নিউ সাউথ ওয়েলসের হয়ে এই রান করেছিলেন তিনি।

৮০১— এই ইনিংসে গেইল ছয় মেরেছেন ১৪টি। যার মাধ্যমে তার ছয় সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে। গেইলই টি-টোয়েন্টিতে ৮০০ ছয় মারা প্রথম এবং একমাত্র ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (৫০৯) ছয়ের মালিক কাইরন পোলার্ড।