বড় স্কোর কেনো হচ্ছে না, নিজেই জানেন না সৌম্য!

চার চারটি ইনিংসে স্পর্শ করেছেন ৩০-এর কোটা। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারছেন না সৌম্য সরকার। নয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতে ৩০ রান ছোঁয়া সহজ কথা নয়। অন্তত টি-টোয়েন্টিতে। কিন্তু ইনিংস বড় করতে না পারার ব্যর্থতায় এই সফলতা উদযাপন করতে পারছেন না তিনি। আরো চিন্তার ব্যাপার হলো, নিজের এই ব্যর্থতার কোনো কারণই খুঁজে পাচ্ছেন না এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

শুক্রবার মিরপুর একাডেমি মাঠে অনুশীলন করেছে সৌম্য সরকারের দল চিটাগং ভাইকিংস। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চট্টগ্রাম পর্বেই শেষ হয়ে গেছে তাদের শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা। বাকি যে কটা ম্যাচ আছে, তার সব জিতলেও শেষ চারে আর যেতে পারবে না তারা।

শুক্রবার অনুশীলনের ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন সৌম্য। এ সময় নিজের ব্যাটিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘আসলে নিজেও বুঝতে পারছি না কেনো বড় স্কোর হচ্ছে না। আমি চেষ্টা করছি। কয়েকটি ইনিংসে ৩০ ছুঁয়েও ইনিংস বড় করতে পারিনি। করতে পারলে হয়তো সবাই বলতো যে, আমার বিপিএল খুব ভালো গেছে। কিন্তু আসলে তা হচ্ছে না।’

ইনিংস বড় করতে না পারার সমস্যা নিয়ে কোচের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনাও হয়েছে সৌম্যর। ব্যক্তিগত কোচের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। চেষ্টা করছেন সমস্যা কাটিয়ে উঠতে।

নিজের সমস্যা কাটিয়ে উঠার পাশাপাশি সৌম্য চেষ্টা করছেন বিপিএলটা জয় দিয়ে শেষ করতে। লিগ পর্বে সব মিলিয়ে দুটি ম্যাচ খেলতে পারবে চিটাগং। এই দুই ম্যাচের দুইটিতেই জেতার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সৌম্য। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর শেষ চারের সুযোগ নেই। তারপরও আমরা শেষ ম্যাচগুলো জিততে চাই। জয় দিয়ে শেষ করতে পারলে ভালো লাগবে।’

এই ভালো লাগাটা অন্তত দাবি করতেই পারে চিটাগং। কারণ আগের চার বিপিএলের মধ্যে একটিতে বেশ ভালো করলেও অন্য তিনটিতে আগে ভাগেই বিদায় নিতে হয়েছে তাদের। এবারও তাই হয়েছে। এখন শেষ দুই ম্যাচে যদি জয় আসে, অন্তত ‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’ এই আপ্ত বাক্য মনে করে প্রশান্তি পেতে পারে চট্টগ্রাম।

এই প্রশান্তি পাওয়ার পথটা প্রশস্ত হতে পারে, যদি সৌম্য সরকার বড় রানের খোঁজ পান। সেই খোঁজ পাওয়ার জন্য দলের কোচের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কোচ এবং দলের অন্যতম সিনিয়র সদস্য মিসবাহ উল হকের পরামর্শ নিচ্ছেন সৌম্য। এখন দেখার বিষয় তাদের পরামর্শ কতোটা সক্ষম করে তুলে সৌম্যকে।