প্রথমবারের মতো মিয়ানমারে পোপ, রোহিঙ্গা ইস্যুতে কিছু বলবেন কি?

মিয়ানমার সফরে প্রথমবারের মতো গেছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। ২৭ নভেম্বর, সোমবার দুপুরে পোপকে বহনকারী প্লেনটি মিয়ানমারের রাজধানী ইয়ানগুনে অবতরণ করে। স্বভাবতই বিশ্বব্যাপী শান্তিকামী মানুষরা তাকিয়ে আছেন পোপ কি রোহিঙ্গা ইস্যুতে কোন কথা বলবেন?

ধর্মগুরু পোপের আগমনে রাস্তার দুই পাশে হাজারো মানুষ দাঁড়িয়ে মিয়ানমারের মাটিতে স্বাগত জানানো হয়। পোপ ফ্রান্সিসও গাড়ি থেকে হাত নাড়িয়ে জনগণের অভিনন্দনের জবাব দেন। ঐতিহাসিক এই সফরে পোপ দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ, সেনাপ্রধানের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। মিয়ানমার সফর শেষেই ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সফরে আসবেন পোপ।

পোপ ফ্রান্সিস এমন এক সময় মিয়ানমার সফর করছেন, যখন রোহিঙ্গাদের কান্না আর রক্তে ভারী হয়ে আছে মিয়ানমারের আকাশ। জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই দেশটির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলমানদের জাতিগতভাবে নিধনের অভিযোগ এনেছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলাবলি হচ্ছে, মিয়ানমার সফরে পোপ 'রোহিঙ্গা' শব্দটি মুখে আনবেন কিনা, সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মিয়ানমারের সরকারি দপ্তর অবশ্য রোহিঙ্গা শব্দটি প্রত্যাখ্যান করেছে। এক্ষেত্রে পোপ যদি রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেন, তাহলে বৌদ্ধ-প্রধান মিয়ানমার কী প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এদিকে পোপকে রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার না করার পরামর্শটি দিয়েছেন মিয়ানমারের কার্ডিনাল আর্চবিশপ চার্লস মোং বো। এর আগে পোপকে একই ধরণের পরামর্শ দিয়েছিলেন সাবেক জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনানও। তবে ইতিহাস বলে, পোপ কখনো এ ধরণের পরামর্শে কান দেন না।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে ৬ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিস্টান বাস করেন। আগামী বুধবার ইয়াঙ্গুন শহরে এক উন্মুক্ত সমাবেশে পোপের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সফরে আসার পর আগামী শুক্রবার, ঢাকায় রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে পোপের।