ভেঙে যেতে পারে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার স্বপ্ন

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলাটা নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছিলো মাশরাফিদের। এর মধ্যে দেখা দিলো নতুন অনিশ্চয়তা। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে বাংলাদেশের সামনে সমীকরণটা ছিলো এ রকম- বাংলাদেশ যদি দুটি ম্যাচ জিততে পারে, তবে নিশ্চিত হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেটা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করেই আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করতে যাচ্ছে জিম্বাবুয়ে। ফলে র‍্যাঙ্কিংয়ে সাত বা আট থেকে ছিটকেও পড়তে পারে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে আইসিসি ট্রফিটা খেলা হবে না মাশরাফিদের।

জিম্বাবুয়ের মতো দেশ হঠাৎ করে কিভাবে ত্রিদেশীয় সিরিজের আয়োজন করতে যাচ্ছে, তা এক বিস্ময়। তবে খুব সম্ভবত তাদের পিছনে থেকে মূল শক্তিটা যুগাচ্ছে অন্য কোনো দেশ। সেই দেশটি খুব সম্ভবত পাকিস্তান। কারণ তারাই আবিস্কার করেছিলো যে, ভারত নাকি তাদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা রুখতে বাংলাদেশের কাছে ইচ্ছে করছে হারছে!

র‍্যাঙ্কিংয়ের বর্তমান অবস্থা এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সূচি নির্ধারিত আছে, তাতে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে হতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম দল হওয়ার লড়াই। বাংলাদেশ উঠে যেতো বর্তমান অবস্থানে থেকেই। কিন্তু সমস্যা বেঁধেছে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায়।

সূচি অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ আর পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার সাথে খেলবে পাঁচটি ওয়ানডে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ যদি দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে কোনো ম্যাচ নাও জিতে, তারপরও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত। অন্য দিকে পাকিস্তান যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতে, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে যাবে তারা। হারলে পিছিয়ে পড়বে ক্যারিবীয়দের চেয়ে। অর্থাৎ আট নম্বর দলের লড়াইয়ে এখন তারাই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর কোনো ম্যাচ না খেললে বাংলাদেশের চিন্তা ছিলো না। চিন্তাটা আসছে আলোচিত ত্রিদেশী সিরিজে তারা খেলবে বলেই।

বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট এখন ৯৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৮৮ আর পাকিস্তানের ৮৭। পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ক্যারিবীয়দের চেয়ে পিছনে। শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ হারলে পিছনেই থাকতে হবে তাদের এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা হবে না। জিতলে তারা টপকে যাবে ক্যারিবীয়দের। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কোনো সমস্যা নেই।

সমস্যা তৈরি করছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। ওই সিরিজে প্রতিটি দল চারটি করে ম্যাচ খেলবে। সে ক্ষেত্রে জিম্বাবুয়ে যদি সব ম্যাচ হারে, তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পয়েন্ট বাড়বে। সাথে পয়েন্ট বাড়বে পাকিস্তানেরও। সেখানেই বাংলাদেশকে ছাড়িয়ে যেতে পারে ওই দুই দল। তখনই মূলত কপাল পুড়বে বাংলাদেশের। তবে বাংলাদেশ যদি আবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজ হারিয়ে দিতে পারে, তখন ত্রিদেশীয় সিরিজ হলেও কোনো সমস্যা থাকবে না। 

ক্রিকেট এতোদিন অনিশ্চয়তার খেলা ছিলো মাঠে। এখন মাঠের বাইরের খেলাও ক্রিকেটকে আরো অনিশ্চিত বানিয়ে দিচ্ছে। শেষ পর্যন্ত কী যে হবে!

আপনি আরো পড়তে পারেন

হারের অপমান ভুলতে ভারতের অন্য কৌশল

ইনজুরিতে শঙ্কায় তাসকিনের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ