চোখ সরাতেই দিচ্ছেন না আবু হায়দার!

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) তৃতীয় আসরের কথা মনে আছে? যে আসরে খেলতে নেমেই বাজিমাত করেছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের হয়ে ঝলমলে আলোর মতো সবার দৃষ্টি মোহিত করে রেখেছিলেন আবু হায়দার রনি। বাঁহাতি এই তরুণ পেসার আবারও দেখিয়ে যাচ্ছেন চমকের পর চমক। নিজের উপর থেকে দর্শকদের চোখ সরাতেই দিচ্ছেন না ২১ বছর বয়সী এই পেসার!

চলতি বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিপিএল শুরু করেন এ বছর ঢাকা ডায়নামাইটসে সুযোগ পাওয়া রনি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। প্রথম ম্যাচের ব্যর্তথাই বোধহয় তাতিয়ে দেয় তাকে।

পরের ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে ৬৫ রানের বড় জয় পায় ঢাকা। এতে ১৩ রানে তিন উইকেট নিয়ে মনোযোগ কাড়েন রনি। এরপর থেকে খেলা মোট সাত ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা এখন ১১, যা এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের রেকর্ড।

দ্বিতীয় ম্যাচে তিন উইকেট নেয়ার পর নিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে দুটি করে উইকেট নেন তিনি। পঞ্চম ম্যাচে আবার তিন উইকেট শিকার করেন রনি, দেন মোটে ১১ রান। সোমবার কুমিল্লার বিপক্ষে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি, ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন এক উইকেট।

২০১৫ সালে ১২ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়েছিলেন রনি। এবার যে তিনি সেই কীর্তি ছাড়িয়ে যেতে পারেন, সে সম্ভাবনা আছে দারুণভাবে। লিগ পর্বেই এখনো পাঁচ ম্যাচ বাকি আছে ঢাকার। ইনজুরিজনিত জটিলতা সৃষ্টি না হলে এই সব ম্যাচে তার না থাকার কোনোই কারণ নেই।

আবু হায়দার যে শুধু বিপিএল মাতাচ্ছেন, তা কিন্তু নয়। সর্বশেষ ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগেও তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী। দেশের সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই ক্রিকেট আসরের ১৬ ম্যাচে তার শিকার ছিলো ৩৫টি। এর মধ্যে তিনবার তিনি ইনিংসে নিয়েছেন চারটি উইকেট। একবার পাঁচটি।

ঘরোয়া পর্যায়ে টানা পারফর্ম করে যাচ্ছেন যে কজন, আবু হায়দার তাদের মধ্যে এক নম্বর। এর মধ্যে জাতীয় দলেও ডাক পেয়েছিলেন তিনি। খেলেছেন পাঁচটি টি-টোয়েন্টি। তাতে নিয়েছেন মাত্র তিন উইকেট। তারপর আর সুযোগ পাননি রনি।

তবে এবার বোধহয় আর পাঁচ ম্যাচ খেলেই বাদ পড়তে হবে না তাকে। তার আগে অবশ্য জাতীয় দলের চৌকাঠে আবার পা রাখতে হবে তার। সেটা করতে খুব একটা কষ্ট হওয়ার কথা নয় বাঁহাতি এই পেসারের। পরের সিরিজে যদি জাতীয় দলে তার সুযোগ না মিলে, সেটা বিস্ময়করই হবে।