জাকিরকে জাতীয় দলে দেখতে চান স্যামি!

সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে নেমে এবারের বিপিএল শুরু করেছিলেন জাকির হাসান। নেমেই খেলেছেন ৫১ রানের এক অপরাজিত ইনিংস। পরের ম্যাচে আবার ৩৬ রান। শুধু সংখ্যাগুলো উল্লেখ করে অবশ্য এখনো ২০ বছরে পা না দেয়া এ তরুণের কীর্তিটাকে বোঝানো যাচ্ছে না। তার কীর্তিটা কতো বড়, তার একটা আন্দাজ পাওয়া যাবে রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির মন্তব্যে।

বিপিএলে স্যামির নেতৃত্বেই খেলছেন জাকির। তাকে তাই খুব কাছে থেকেই দেখছেন স্যামি। গত দুই ম্যাচে বিপিএলের দর্শকরাও দেখেছেন ছোটখাট গড়নের জাকিরের ব্যাটিং দৃঢ়তা। শনিবার ঢাকা ডায়নামাইটসের কাছে হারের ম্যাচে ৩৬ রান করা জাকিরকে নিয়ে ম্যাচ শেষে স্যামি বলেন, ‘ও আসলে চমৎকার পারফর্ম্যান্স করছে। আমি তাকে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ জাতীয় দলে দেখতে চাই।’

চমৎকার পারফর্ম্যান্স আসলে কেমন— যার জন্য জাকিরকে জাতীয় দলেই দেখতে চাইছেন স্যামি; উত্তরটা দিয়েছেন স্যামি নিজেই। তিনি বলেন, ‘জাকির যেভাবে খেলেছে, সেটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট। আমি ব্যাটসম্যানদেরকে এমন ক্রিকেটেরই নির্দেশনা দিয়েছি।’

জাকির হাসান যে একটু মেরে খেলতে পছন্দ করেন, তার প্রমাণ বাংলাদেশি সমর্থকরা পেয়েছেন আরো দুই বছর আগেই। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ পারফর্ম্যান্স করেছিলেন তিনি। ছিলো ঝড়ো একাধিক ইনিংসও।

জাকির নিজেই বলেছেন যে, গত বিপিএলে তিনি ভালো করতে পারেননি, কারণ নিজের শক্তির জায়গায় তিনি নড়বড়ে ছিলেন। এমন কথার পিঠে জাকিরের কাছে তার শক্তির জায়গা জানতে চাওয়া হয়েছিলো। উত্তরে জাকির বলেন, ‘আমি শট খেলতে পছন্দ করি। এটাই আসলে আমার শক্তির বড় জায়গাা।’

শট খেলতে পছন্দ করেন এবং এটাই শক্তির জায়গা; এমন ক্রিকেটার আরো আছেন বাংলাদেশ দলে। আগেও ছিলেন। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই বেশিদিন টিকতে পারেননি। জাকির কি পারবেন জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে এবং টিকে থাকতে? এই প্রশ্নের উত্তরটা আপাতত সময়ের হাতে তোলা। তবে পরিস্থিতি যা বলছে, তাতে মনে হচ্ছে, অনূর্ধ্ব-১৯ হয়ে হাইপারফর্ম্যান্স এবং তারপর ‘এ’ দলে সুযোগ পাওয়া জাকির লম্বা রেসের ঘোড়া।

তারপরও উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান কতো দূর যাবেন, তা দেখতে সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আপাতত কিছু করার আর সুযোগ কই!